প্রবল রাজনীতির দাপটে হারিয়ে যাচ্ছেন সুনীতিকুমার

মেধাবী বাঙালি সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের আজ ১২৯তম জন্মদিন। প্রবল রাজনীতির দাপটে হারিয়ে যায় বাঙালির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তানের নাম।

ভাষাতাত্ত্বিক, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় বাঙালির গর্ব। ১৮৯০ সালে সুনীতিকুমারের জন্ম শিবপুরে। সারা জীবনই কার্যত গবেষণার মধ্যে কেটেছে। ১৯০৭ সালে মতিলাল শীল স্কুল থেকে পাশ করে এন্ট্রান্স স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে। বিএ পাস প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯১১ সালে। ইংরেজিতে বিএ পাস প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে। ১৯১৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস। সেখানেও তিনি প্রথম। তারপর বিদ্যাসাগর কলেজে ইংরেজির অধ্যাপনা শুরু। টানা পাঁচ বছর পর্যন্ত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর তিনি চলে যান লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে ধ্বনিবিজ্ঞান ডিপ্লোমা করেন। ১৯৬৩ সালে ভারতের জাতীয় অধ্যাপক হন সুনীতিকুমার। তিনি যে বইয়ের জন্য আজও বাঙালির কাছে জনপ্রিয় তাহলে ‘বেঙ্গলি ফোনেটিক লিডার’, ‘বাংলা ভাষাতত্ত্বের ভূমিকা,’ ‘ভারতের ভাষা ও ভাষা সমস্যা’, ‘বাংলা ব্যাকরণ,’ ‘ভারতের সংস্কৃতি,’ ‘সংস্কৃতি কী’ ‘ওয়ার্ল্ড লিটারেচার অ্যান্ড টেগোর’, ইত্যাদি। প্রবল পাণ্ডিত্যের কারণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে ‘ভাষাচার্য’ উপাধি দিয়েছিলেন। সারা জীবনে পেয়েছিলেন অসংখ্য সম্মাননা। তারমধ্যে রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটির ফেলো নির্বাচন, হিন্দি ভাষায় অবদানের জন্য সাহিত্য বাচস্পতি উপাধি, লন্ডনের সোসাইটি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস সদস্যপদ লাভ, ১৯৫২ থেকে টানা ৫ বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধান পরিষদের অধ্যক্ষ ছিলেন, নরওয়েজিয়ান একাডেমির সদস্য ছিলেন, পদ্মবিভূষণ খেতাব। রবীন্দ্রনাথের ভ্রমণসঙ্গী হয়েছিলেন যে চারজন সুনীতিকুমার তাদের একজন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই ভ্রমণে তাঁরা গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুর, জাভা, কুয়ালা লামপুর, মালাক্কা, পেনাং সিয়াম প্রভৃতি দেশে।

আরও পড়ুন-আপনি ট্রেন সফরে, আর বাড়িতে চুরি? চিন্তা নেই বিমা দিচ্ছে রেল

 

Previous articleবই পড়লে কফি ফ্রি!
Next articleশতায়ু নির্মলাকে চেনেন না তো!