ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে, মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে টুইট বোমা ধনকড়ের!

আভাসটা গতকালই দিয়ে রেখেছিলেন। বোমাটা শেষ পর্যন্ত পাঠিয়ে দিলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড়। বুধবার সকাল থেকেই একের পর এক টুইট বোমা রাজ্যপালের। ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে। তার প্রতিটি টুইটিই ছিল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজ্য সরকার এবং তার প্রধান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে।

বুধবার সকালে প্রথম ট্যুইটারে রাজ্যপাল লিখলেন, ‘কাউকে সৌজন্য দেখাতে কোনও দিনও কার্পণ্য করিনি৷ মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিও আমার গভীর শ্রদ্ধা৷ কিন্তু অদ্ভুতভাবে উনি সৌজন্যমূলক ব্যবহার করেননি। আমি বিস্মিত৷ তবে অমিত মিত্র, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, আব্দুল মান্নান-সহ সব অন্য বিধায়করা আমাকে অভিনন্দন জানিয়ে ছিলেন।’

প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় সংবিধান দিবস উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ নিয়ে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়৷ বিধানসভায় সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা হলেও, বাক্যালাপ হয়নি দু’জনের৷

তৃণমূলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে স্বাগত জানাতে বিধানসভার গেটের সামনে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়েই অধিবেশন কক্ষে ঢুকে পড়েন৷

এদিকে রাজ্যপালের দাবি, নিয়মরক্ষা করতেই তাঁকে শেষ মুহূর্তে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এবং সেটাও মুখ্যমন্ত্রীর পরে৷ যা অপমানজনক।

এই ঘটনায় রাজ্যপালকে মুখ্যমন্ত্রীর তোপ, ‘আমি তিনবার চিঠি দিয়েছি৷ প্রধানমন্ত্রীও আমার সঙ্গে এরকম করেন না৷ প্রধানমন্ত্রী দেখা হলে কথা বলেন৷ রাজ্যপাল দেখা হলে কথা বলেন না৷’ এখানেই থেমে যাননি মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে মুখ্য মন্ত্রী আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত। রাজ্যপাল একটা মনোনীত পদ৷ এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী কে? গণতন্ত্রের জন্য এটা ভালো নয়৷ আপনি রাজভবন চালাতে চান, নাকি প্রচার চান? আপনাকে কে, কেন পাঠিয়েছে সব জানি৷’

সবমিলিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে অন্য একটা বিতর্কিত রূপ পেল সংবিধান দিবস।

 

Previous articleমাজেরহাট ব্রিজ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের চিঠির চাপান-উতোর
Next article৬ ডিসেম্বর নয়, কোহলিদের ম্যাচ সরল হায়দরাবাদে