উপ নির্বাচনে ভরাডুবি, শুনশান চেহারা নিয়েছে বিজেপি সদর দফতর

মাত্র ৬ মাসেই বদলে গেল ছবিটা। চলতি বছরের মে মাসে দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিন, বিজেপির অন্যান্য পার্টি অফিসগুলোর মতোই গমগম করছিল সেন্ট্রাল এভিনিউ-এ বঙ্গ বিজেপির সদর দফতর ৬, মুরলিধর সেন লেন। লোকসভায় রাজ্যের দুই থেকে আসন বাড়িয়ে ১৮-তে পৌঁছেছিল বিজেপি। অন্যদিকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের আসন কমে দাঁড়িয়েছিল ৩৪ থেকে ২২-এ। সেই সময় কার্যত গেরুয়া রঙের রঙিন হয় উৎসবে মেতে উঠেছিল রাজ্য বিজেপি সদর দফতর। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত, ছোট-বড়-মেজো সব নেতারই ছিল অবাধ আনাগোনা। পাশাপাশি কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।

শুধু ভোট বা ভোটের ফল নয়, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসা এবং দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে রাজ্য বিজেপির সদর দফতর সবসময় থাকে জমজমাট। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাজ্যের তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ভরাডুবির পর কার্যত শুনশানের চেহারা নিয়েছে ৬, মুরলিধর সেন লেনের গেরুয়া-সবুজ বাড়িটি।

এ দিন গণনা শুরুর পর সকালের দিকে কালিয়াগঞ্জ এবং বেশ কিছুক্ষণের জন্য খড়গপুর সদর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী এগিয়ে থাকার খবরে বেশ উৎসাহের সঙ্গে রাজ্য দফতরে আসা শুরু করেছিলেন কর্মীসমর্থকরা। কিন্তু বেলা যত গড়িয়েছে, ততই ফলাফল বিপক্ষে গিয়েছে বিজেপির। উপনির্বাচনে তিনটি আসনই জিতে নিয়েছে শাসক দল তৃণমূল। যার মধ্যে খড়গপুর সদর কেন্দ্রটি আবার বিজেপির দখলে ছিল। ২০১৬ সালে সেখান থেকে জিতেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু নিজের গড়ই রক্ষা করতে পারলেন না রাজ্য সভাপতি। কিন্তু মাসকয়েক আগেই লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে এই কেন্দ্র থেকেই ৪৫ হাজার ভোটে লিড ছিল বিজেপির।

অন্যদিকে, লোকসভায় কালিয়াগঞ্জ-এ বিজেপির ৫৫ হাজারের বেশি লিড থাকা সত্ত্বেও আসনটি দখলে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবং করিমপুরে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের।

অথচ, দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে মুকুল রায় কিংবা রাহুল সিনহারা আজ সকাল পর্যন্ত দাবি করে গিয়েছেন উপনির্বাচনে তিনটি আসনেই তাঁদের জয় নিশ্চিত। কিন্তু ফলাফল হল ঠিক উল্টোটা।

আরও পড়ুন-প্রেস্টিজ-ফাইটে দশ গোল খেলেন বঙ্গ-বিজেপির সভাপতি

 

Previous articleদাম স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ বেচবে না মানিকতলা মার্কেটের বিক্রেতারা
Next articleহারের যে ৬টি কারণ বললেন দিলীপ ঘোষ