‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ দুষ্কৃতীকে ধরতে প্রেমের ফাঁদ পুলিশের

এবার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ দুষ্কৃতীকে ধরতে প্রেমের ফাঁদ পাতল পুলিশ। এই কাণ্ড এক মহিলা পুলিশ অফিসারের। গায়ের জোর লাগিয়ে না, বুদ্ধি লাগিয়ে ধরলেন দাগী আসামীকে। প্রথমে ওই মহিলা পুলিশ অফিসার আলাপ জমালেন আসামীর সঙ্গে। তারপরেই শুরু হল কথপকথন। সেই সব চলতে চলতেই বিয়ের প্রস্তাব। আর কী। ব্যাস। বিয়ে করতে গিয়েই পুলিশের জালে ধরা পড়ল দাগী আসামী। তার নামে রয়েছে খুন-সহ ১৬টি মামলা। মধ্যপ্রদেশের মাহবা জেলার বিজৌরি গ্রামের ঘটনা। বৃহস্পতিবার মন্দির থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বালকিষণ চৌবে নামের ওই দুষ্কৃতীকে। চলতি বছর অগস্টে উত্তরপ্রদেশের একটি খুনের ঘটনায় তার মাথার দামও ধার্য করেছিল পুলিশ। কিন্তু ধরা যায়নি তাকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, বহু চেষ্টা করেও বালকিষণকে ধরা যাচ্ছিল না। এরপর মাস খানেক আগে পুলিশের হাতে একটি নম্বর আসে। জানা যায়, বালকিষাণ ওই নম্বরটি ব্যবহার করছে। এর আগেও পুলিশ তাকে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখে ধরার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তা হয়নি। দিল্লির একটি সিম কার্ড নিয়ে এক মহিলা পুলিশ আধিকারিককে ফোন নম্বর দেওয়া হয়। ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিক ফোন করেন বালকিষণকে। ফোন ধরে ওই আধিকারিক বলেন, তিনি হয়তো ভুল নম্বরে ফোন করে ফেলেছেন। ওদিক থেকে বালকিষাণ জানতে চান, এই মহিলার বাড়ি কোথায়। জবাবে তাকে মহিলা আধিকারিক জানান, তিনি আসলে বুন্দেলখণ্ডের বাসিন্দা। কিন্তু এখন কাজের জন্য দিল্লিতে থাকেন। এরপর থেকে নিয়মিত ফোন করতে শুরু করে বালকিষাণ। কথা হতে থাকে দু’জনের মধ্যে। কয়েক দিনের মধ্যেই বালকিষণকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মহিলা পুলিশ আধিকারিক। রাজি হয়ে যায় ওই দুষ্কৃতী। যথা সময় দুষ্কৃতী ‘পাত্র’ মন্দিরে পৌঁছে যায়। ঠিক তারপরেই ‘কনেযাত্রী’ অর্থাৎ সাদা পোশকের পুলিশ সেখানে পৌঁছয়। আর তারপরেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৬টি খুনের আসামী এখন শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার বদলে ‘মামাবাড়ি’-তে, অর্থাৎ জেলে।

আরও পড়ুন-আস্থা ভোট বাতিলের দাবি তুললেন ফড়নবিশ

 

Previous articleআস্থা ভোট বাতিলের দাবি তুললেন ফড়নবিশ
Next articleআই লিগের শুরুতেই পাহাড়ে ধাক্কা খেল বাগান শিবির