ব্যাটসম্যানদের অনবদ্য পারফরম্যান্স, সঙ্গে তুখোড় বোলিং দাপটে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ান-ডে ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল টিম ইন্ডিয়া। চেন্নাই ম্যাচে হারের রেশ কাটিয়ে দুরন্ত জয় কোহলি ব্রিগেডের। রাহুল-রোহিতের শতরান সঙ্গে কুলদীপের হ্যাটট্রিকে ১০৭ রানে ক্যারিবিয়ানদের হারাল ভারত।
এদিন টস জিতে কোহলিদের ব্যাট করতে পাঠান ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক পোলার্ড। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন রোহিত। যোগ্য সঙ্গ দেন রাহুল। ক্যারিবিয়ান বোলারদের রীতিমতো শাসন করতে থাকেন ভারতের দুই ওপেনার। একের পর এক বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি। ৩৪তম ওভারে ওয়ান-ডে ক্রিকেটে ২৮তম সেঞ্চুরিটি পূর্ণ করেন ‘হিটম্যান’। ১০৭ বলে ১১টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ৩৪ তম ওভারে শতরান পূর্ণ করেন কোহলির ডেপুটি। অর্ধশতরানের তুলনায় স্ট্রাইক রেটের গতি অনেকটাই বাড়িয়ে রাহুলের আগে তিন অঙ্কের রানে পৌঁছে যান রোহিত। ওই একই ওভারে দ্বিশতরানের গন্ডি পেরিয়ে যায় ‘মেন ইন ব্লু’। ৩৭তম ওভারে আলজারি জোসেফের ডেলিভারি বাউন্ডারিতে ঠেলে কেরিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ান-ডে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রাহুল। যদিও এরপর তাঁর ইনিংস বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ওই একই ওভারে রস্টন চেজের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নমুখী হন তিনি। ১০৪ বলে রাহুলের ১০২ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ৮টি চার ও ৩টি ছয়ে। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ২২৭ রান। উল্টোদিকে শতরান পূর্ণ করে আরও মারমুখী হয়ে ওঠেন ‘হিটম্যান’। ১৩২ বলে দেড়শতরানের গন্ডি পার করে ফেলেন বিশ্বকাপের সর্বাধিক রানসংগ্রাহক। ৪৪ তম ওভারে আউট হন রোহিত। ১৩৭ বলে ১৫৯ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন রোহিত।
রোহিতের পর কোহলি ফেরেন শূন্য রানে। কিন্তু স্কোরবোর্ডে রানের বন্যা শ্রেয়স আইয়ার ও পন্থ জুটি। ৩২ বলে ৫৩ করেন শ্রেয়স। অন্যদিকে ৪টি ছক্কা হাঁকিয়ে ১৬ বলে ৩৯ রান করেন পন্থ। ১০ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন কেদার যাদব। শেষমেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৮৭ রান তোলে ভারতীয় দল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই ছন্দপতন। ৩৫ বলে ৩০ রান করে শ্রেয়সের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন লুইস। গত ম্যাচে ভারতের হারের অন্যতম কারণ হেটমায়ার আজ দুই অঙ্কেও পৌঁছাতে পারেননি। মাত্র ৪ রানে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর লড়তে থাকেন হোপ এবং পুরাণ। দুজনেই অর্ধশতরান করেন। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের সব অঙ্কই এদিন ওলট-পালট করে দেন কুলদীপ যাদব। ইনিংসের ৩৩তম ওভারের চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে কুলদীপ যথাক্রমে সাই হোপ, জেসন হোল্ডার ও আলজারি জোসেফের উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিক করেন। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক তো এদিন খাতা খুলতেই পারেননি। অর্ধশতরানের মুখে কিমো পলকে ফেরান মহম্মদ শামি। ইনিংসের বাকি কাজটা সারেন শামি ও জাদেজা। ৩৮০ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে ২৮০ রানেই শেষ হয়ে গেল ক্যারিবিয়ান ইনিংস।