ডার্বি বাতিলে পরস্পরবিরোধী মন্তব্যে ময়দান সরগরম

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জেরে বাতিল হয়েছে রবিবারে আই লিগের প্রথম ডার্বি ম্যাচ। আর সে নিয়ে দুই প্রধানসহ পুলিশের পরস্পর বিরোধী মন্তব্যে ময়দানে জটিলতা। বিধান নগর পুলিশের পক্ষ থেকে ম্যাচ সংগঠক মোহনবাগান কর্তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে, যুবভারতী ৬৫হাজার টিকিট বিক্রি করা যাবে না। কম টিকিট বিক্রি করতে হবে। পুলিশ বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে থাকার কারণে ৬৫হাজার দর্শকদের নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। মোহনবাগান কর্তারা ফেডারেশনকে পুলিশের এই পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে চিঠি দিয়ে জানান সারা বছর সমর্থকরা এই ম্যাচ দেখার জন্য বসে থাকেন। তাই নতুন বছরের শুরুতেই ম্যাচ করা হোক। কিন্তু অন্যদিকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয় যাওয়ার কারণে ক্ষিপ্ত ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ফেডারেশন না জানিয়েই ডার্বি ম্যাচ বন্ধ করেছে। পুলিশ নির্দিষ্ট করে কোথাও লেখেনি কত দর্শক স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারবেন এবং কেন পুলিশ চাইছে না। যারা এটা করলেন তারা আসলে ‘কালিদাস’। ফুটবলের ক্ষতি হলো। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই। দোকানের তরফ থেকে পাল্টা বলা হয় গ্যালারি ফাঁকা রেখে খেলা হলে সেটা কলকাতার ফুটবলের জন্য ভাল বিজ্ঞাপন হতো না। শুধু মোহনবাগান নয়, ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরাও খেলা দেখা থেকে বঞ্চিত হতেন। পাল্টা বিধাননগর পুলিশকর্তা কুণাল আগারওয়াল বলেন, আমরা ডার্বি বন্ধ করতে বলিনি। তবে দর্শকদের জন্য ম্যাচের পুরো টিকিট বিক্রি করতে বারণ করেছি। কারণ, আমাদের হাতে পর্যাপ্ত পুলিশ নেই। তবে ডার্বি বন্ধ হওয়া নিয়ে শোনা যাচ্ছে অন্য কথাও। ম্যাচ আয়োজনের ১৫লক্ষ টাকার কাছাকাছি খরচা। আর কুড়ি হাজার টিকিটে বেশি বিক্রি করতে না পারলে আর্থিক ক্ষতি হবে। এছাড়া মোহনবাগানের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় জুলেন কলিনাস চোট পেয়ে বাইরে। এছাড়া বিদেশি স্ট্রাইকার সেনেগালের পাপা বাবাকারকে পাওয়া যাবে ১জানুয়ারি থেকে। রবিবার খেলা হলে এই দুজনকেই পাওয়া যেত না। এই দাবি অবশ্য মোহনবাগান উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, বাগানের যা দল, সেই দলই ইস্টবেঙ্গলকে হারানোর ক্ষমতা রাখে। এটা কুযুক্তি ছাড়া আর কিছুই নয়।

Previous articleআজ শহরে আইপিএল নিলাম, দেখে নিন কোন দল কোথায় রয়েছে
Next articleসিএএ-র বিরোধিতা করায় বেঙ্গালুরুতে আটক রামচন্দ্র গুহ