লুঙ্গি-ফেজটুপি পরে ট্রেনে পাথর ছোঁড়ার সময় ধৃত বিজেপির অ-মুসলিম কর্মী

মুখ পুড়লো বঙ্গ-বিজেপি’র৷ অসত্য প্রমানিত প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যও৷
CAA-র প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেজটুপি আর লুঙ্গি পরে ট্রেনে পাথর ছোঁড়ার দায়ে এক বিজেপি কর্মী ও তার পাঁচ সঙ্গীকে আটক করল মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ।ধৃত বিজেপি কর্মীর নাম অভিষেক সরকার৷ ট্রেনে পাথর ছোঁড়ার সময়ই তাদের ধরে ফেলে স্থানীয়রা।

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে অশান্তির ঘটনায় প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিনকয়েক আগে বিক্ষোভকারীদের পোশাক নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, ”পোশাক দেখেই বোঝা যায়, কারা হিংসা ছড়াচ্ছে।’
মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ অভিষেক সরকার নামে ওই বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বও মিথ্যা প্রমানিত হলো৷ মুখ পুড়ল বিজেপিরই। এদিকে
অভিযুক্তদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই রুটিন বিবৃতি দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে বাংলাতেও৷ বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর করে, আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করেছে সরকারি সম্পত্তি। রাজ্যে অশান্তির ঘটনায় মোট 931 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ সেই রিপোর্ট এদিন হাইকোর্টেও পেশ করেছে রাজ্য সরকার।

লুঙ্গি ও ফেজটুপি পরে ট্রেনে পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় বিজেপি কর্মীর আটকের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ মুর্শিদাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, রাধামাধবতলার বাসিন্দারা 6 জনকে শিয়ালদহ-লালগোলা লাইনের ট্রেনে পাথর ছোঁড়ার সময় হাতেনাতে ধরেছে। আটকদের মধ্যে অভিষেক সরকার (21) একজন বিজেপি কর্মী বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সুপার মুকেশ জানিয়েছেন, ‘ধৃতরা জানিয়েছে, তারা লুঙ্গি ও ফেজটুপি পরে ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভিডিও তৈরি করছিল। কিন্তু সেই ইউটিউব চ্যানেলের কোনও অস্তিত্বই তারা দেখাতে পারেনি।’
জানা গিয়েছে, অভিষেকের বাড়ি শ্রীশনগর এলাকায়। তাকে একাধিকবার বিজেপির কর্মসূচি-মিছিলে দেখা গিয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রেললাইনের ধারে ওদের পোশাক পালটাতে দেখেই সন্দেহ হয়। অভিষেককে চিনি বলেই ওকে আমরা জিজ্ঞাসা করি৷ তারপরই পুলিশে খবর দিই।’ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে মোট 7জন ছিল। একজন পালিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বিজেপির ফাঁদে পা দেবেন না। ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট পেয়েছি, বিজেপি তাদের কর্মীদের জন্য ফেজটুপি কিনছে, যাতে অশান্তি করার সময় ছবি তুলে মুসলিম সম্প্রদায়কে বদনাম করতে পারে। যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা-দ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভুয়ো ভিডিও তৈরি করছে।’ রাধামাধবতলার ঘটনায় মমতার এই আশঙ্কাই সত্যি বলে প্রমানিত হলো৷

Previous article২৭কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস!
Next articleযাদবপুরে সমাবর্তনে ধনকড়কে বয়কটের পরিকল্পনা ছাত্র সংগঠনগুলির