মিটিং করছেন আচার্য, কোর্টের বাইরে “বিজেপির দালাল দূর হটো” স্লোগান যাদবপুরে

ঘন্টাখানেক ধরে প্রবল বিক্ষোভের পর অবশেষে যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের কোর্টে ঢোকেন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড়। কিন্তু সহজে ছাড়ার পাত্র নয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। মিটিং চলাকালীন কোর্টের বাইরে লাগাতার “গো ব্যাক”, “বিজেপির দালাল দূর হটো” ইত্যাদি
স্লোগান দিচ্ছে তারা।

এদিন কার্যত জেদ করেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কিন্তু প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। যা গোটা দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। রাজ্যপাল তথা আচার্যকে ঘিরে এমন ছাত্র বিক্ষোভ কেউ মনে করতে পারছেন না।

উল্লেখ্য, সমাবর্তন বা বিশেষ সমাবর্তন বাতিলের ক্ষমতা বিধি অনুসারে ঠিক কার হাতে তা বুঝিয়ে রবিবারই উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে চিঠি দিয়েছেন ধনকড়। চিঠিতে তিনি বলেছেন, সমাবর্তন বাতিল করার ক্ষমতা কর্মসমিতির এক্তিয়ারে নেই। এই সমাবর্তন ‘বেআইনি’ বলেও তিনি দাবি করেছেন৷

রাজ্যপালহুমকি দিয়েছিলেন, তাঁর এই অসম্মান ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। রাজ্যপাল চিঠিতে বলেছেন, বেআইনি সমাবর্তনে অংশ নিয়ে এবং শংসাপত্র নিয়ে বিপাকে পড়তে পারেন পড়ুয়ারা। যাদবপুর ঘিরে চলতি বিতর্কে রাজ্য সরকারকে নিশানা করে রাজ্যপাল বলেছেন, “এঁরা জানেন না এঁরা কী করছেন। সবজি কাটার ছুরি দিয়ে বাইপাস সার্জারি করছে।” রাজ্যপালের এ ধরনের উক্তিতে মোটেই বিচলিত নয় রাজ্য সরকার ৷ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ সব হুমকির উত্তরে বলেছেন, “ওঁকে আর কী বলব বলুন? ওঁকে এত গুরুত্ব দেওয়ারই বা কী আছে? প্রত্যেক দিনই তো কিছু না কিছু বলছেন।”

তবে, বিশ্ববিদ্যালয় কার কথায় সিদ্ধান্ত নেবে, কর্মসমিতি না আচার্য, সে বিতর্কের নিষ্পত্তি যেভাবেই হোক, এদিন ধনকড় বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে যাদবপুর অশান্ত হয়ে ওঠে।

Previous articleবন্দি অবস্থায় এলাহাবাদ জেলে মৃত্যু কাশ্মীরি এক রাজনীতিকের
Next articleঝাড়খণ্ডের জন্য কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোটকে অভিনন্দন মমতার