মুসলিম দেশগুলির অনুরোধ ও সমালোচনায় বিপাকে নয়াদিল্লি

অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন বা ওআইসি। মুসলিম দেশগুলির এই সংগঠনে গত বছরে সম্মানিত অতিথি হিসাবে ডাক পায় ভারত। প্রতিবাদে সেই সময়ে সম্মেলন বয়কট করেছিল পাকিস্তান। আর এনআরসি-সিএএ-র দৌলতে সেই সংগঠনের প্রবল চাপে নয়া দিল্লির সাউথ ব্লক। ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে এই অভিযোগে ক্ষোভ বাড়ছে মুসলিম দুনিয়ায়। আর তা যে সাউথ ব্লকের কাছে অশনি সংকেত, তা দিল্লির রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই বোঝা যাচ্ছে।

মালয়েশিয়া বা তুরস্কর মতো দেশগুলি গত কয়েক মাস ধরে মোদি সরকারের সমালোচনা শুরু করেছে। যদিও বাণিজ্যিক কারণে ওআইসি ভুক্ত দেশগুলি ভারতের পাশে থেকেছে। কিন্তু ক্ষোভ বাড়ছে। সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ভারতের বর্তমান পরিস্থিতিতে খুশি নয়, সে বার্তা পৌঁছে গিয়েছে নয়াদিল্লিতে। এই সংগঠনের ৫৭টি মুসলিম রাষ্ট্রের সংগঠন সমালোচনা শুরু করেছে ভারতের, এবং তার ছাপ যে বাণিজ্যে পড়তে পারে তা নিশ্চিত। এই সুযোগ প্রতিবেশী পাকিস্তানও নিতে পারে বলেও ধারণা। গত সপ্তাহতেই ওআইসির পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় কোণঠাসা হচ্ছে। উদ্বিগ্ন ওআইসি সেদিকে নজর রাখছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে যদি বৈষম্য হয়, তাহলে এলাকায় শান্তি, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। মুসলিমদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে ওআইসি-র পক্ষ থেকে সরাসরি অনুরোধ করা হচ্ছে।

এই বয়ানই স্পষ্ট করে দিচ্ছে রামলীলা ময়দান থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুসলিম দেশগুলির সঙ্গে যে সুসম্পর্কের কথা বলেছিলেন, তা কার্যত টাল খেয়েছে। এখন দেখার বিষয় সেই সম্পর্ক জোড়া লাগাতে কোন উদ্যোগ নেয় নয়াদিল্লি।

Previous articleনটি বিনোদিনীর মঞ্চ ছাড়ার দিনে কুণাল ঘোষের কলম
Next articleবিজেপি মন্ত্রী রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকে জীবন্ত পেট্রলবোমা বললেন