NRC-CAA অস্থিরতার মধ্যেই মিঠে রোদ গায়ে মেখে বড়দিনের উৎসবে মাতোয়ারা তিলোত্তমা

দেশজুড়ে NRC ও কেন্দ্রের নয়া সংশোধনী নাগরিকত্ব আইন বা CAA নিয়ে অস্থিরতা তুঙ্গে মিটিং-মিছিল-প্রতিবাদ-বিক্ষোভ-হিংসা-মৃত্যুর আঁচ পড়েছে আমাদের প্রিয় কলকাতা শহর কলকাতাতেও। কিন্তু কোনও কিছুই বড়দিনের উৎসবের আমেজকে ছোট করতে পারলো না। সকাল থেকেই বড়দিনের উৎসবে মেতে উঠলো তিলোত্তমা।

উৎসবকে কাবু করতে পারেনি গত কয়েকদিনের জবথুবু শীতও। বৃষ্টির ভ্রূকুটি সরিয়ে বড়দিনের সকাল থেকেই রোদের দেখা মিলেছে। কিছু কিছু জায়গায় ঘনকুয়াশার দাপট ছিল বটে, কিন্তু তা ঝাপসা করতে পারেনি উৎসবের আলোকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কুয়াশার চাদর সরিয়ে মিঠে রোদ গায়ে মেখেছে শহর কলকাতা। আবার কুয়াশার জন্যই কমেছে ঠান্ডার দাপট। সবমিলিয়ে গোটা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাঙালির বড়দিনের ছুটির আনন্দ বেড়ে গিয়েছে বেশ কয়েক গুণ।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে জিঙ্গল বেলের শব্দে শুরু হয়েছিল বড়দিন। চার্চে চার্চে প্রার্থনায় মুখরিত হয়েছিল সিটি অব জয়। আর ভোরের আলো ফুটতেই সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে উৎসবকে প্রাধান্য দিয়ে মানুষের ঢল নেমেছে শহরের বুকে।

আট থেকে আশি, রং-বেরংয়ের পোশাক আর সান্তা দাদুর টুপি পরে ভিড় জমিয়েছে সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চ, বিড়লা তারামণ্ডল, ভিক্টোরিয়া,পার্ক স্ট্রিট বো ব্যারাক, জাদুঘর, চিড়িয়াখানা, ময়দান, নিক্কো পার্ক, সায়েন্স সিটি, ইকো পার্ক-সহ শহরের বিবিন্ন জায়গা ক্রমশ ভরে উঠেছে মানুষের ভিড়ে। বড়দিনের ছুটি কাটাতে ভিন রাজ্য থেকে এসেছেন অনেকে। সিঙ্গাপুর, আমেরিকা থেকে এসেছেন প্রবাসী বাঙালিরাও। ভিড় জমিয়েছেন বিদেশি পর্যটকরাও। যাদের মধ্যে অনেকেরই বড়দিনের কলকাতা দর্শন এই প্রথম। তিলোত্তমার সেলিব্রেশন দেখে মুগ্ধ তাঁরা।

এদিকে, বড়দিনের উৎসবে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে দিকে কড়া নজর রয়েছে প্রশাসন ও কলকাতা পুলিশের। নিরাপত্তার জন্য শহরে নামানো হয়েছে বিশাল বাহিনী। গোটা পার্ক স্ট্রিট চত্বর জুড়ে টহলদারি চলছে পুলিশের। রোমিও দৌরাত্ম আটকাতে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশও মোতায়েন রেখেছে লালবাজার।

Previous articleঠিক কী চাইছেন তিনি ? কণাদ দাশগুপ্তর কলম
Next articleনোবেলজয়ী ‘ঘরের ছেলে’কে ডিলিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের