‘করুণ অবস্থা দেশের অর্থনীতির’,বর্ষ শেষে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টে আতঙ্ক

বিরোধীরা তীর ছোড়ায় সরকার বলেছিল, শুধু সমালোচনাই ওদের কাজ, এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেশের অর্থনীতির করুণ দশা সামনে এনে দিল। জানাল, অর্থনৈতিক অবস্থার করুণ দশার কারণে ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণের বোঝা আগামী এক বছরে বাড়বে। ২০২০-র সেপ্টেম্বরে এই পরিমাণ ৯.৩% থেকে বেড়ে ৯.৯% পৌঁছবে। আর এক ধাপ এগিয়ে অর্থনীতির মূল্যায়নকারী সংস্থা ইক্রা জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের ঋণ বৃদ্ধির হার বিগত ৫৮ বছরের রেকর্ড ভেঙে তলানিতে এসে ঠেকবে।

আজ, শনিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ব্যাঙ্ক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। তার আগে এই পরিসংখ্যান কার্যত সরকারের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়ে দিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বর্ষ শেষে তাদের ফিনান্সিয়াল স্টেবিলিটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানে তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, বছরের শেষ কোয়ার্টারে বাজারে চাহিদা কমেছে। ফলে বৃদ্ধির হারও কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ঝিমুনির কারণে ভারতের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। ফলে একদিকে কেনাকাটা আর অন্যদিকে লগ্নি চাঙ্গা করার পাশাপাশি সরকারকে আন্তর্জাতিক বাজারের ধাক্কাও সামাল দিতে হবে। যদিও গতকাল সিমলায় গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী রাতদিন লড়াই করছেন এই সমস্যা থেকে বেরোতে। আশা, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটাই স্বাভাবিক। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে রাহুর দশা চলছে। শেয়ার বাজারে লগ্নিকারীরা সাবধানী হয়ে পড়ছে। ঋণের পরিমাণ না বাড়লে এনপিএ-র হার বাড়বেই। ইক্রা বলেছে, ঋণ বৃদ্ধির হার ৭%-এর মধ্যে থাকবে। গত বছরে যা ১৩.৩% ছিল। রাহুল গান্ধীর মন্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নিজের কাজটাই ভালভাবে করতে পারছেন না। আগে বৃদ্ধির হার ৯% ছিল, এখন ৪%-তে নেমেছে নতুন পদ্ধতি মেনে। আর পুরনো পদ্ধতি হলে এই বৃদ্ধির হার ২.৫%। তাহলে গরিব মানুষ রোজগার করবে কোথা থেকে!

Previous article‘বর্ষসেরা মিথ্যেবাদী’ রাহুল গান্ধী, কেন বলল বিজেপি?
Next articleপ্রতিবাদের মাসুল, বারাণসী সিপিএমের প্রায় পুরো জেলা কমিটিই জেলে!