মঞ্চ কেন? কী বলছেন এযুগের দেব, পারু, চন্দ্রমুখী

চারদিকে সিরিয়াল, ওয়েব-সিরিজ শর্ট ফিল্ম, ফিল্মের হাতছানি। কিন্তু সেই এড়িয়ে এ প্রজন্মের বেশি কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা আঁকড়ে ধরেছে মঞ্চকে। কারণ, তাঁরা বিশ্বাস করেন শেখার জায়গা নাটকই। মঞ্চকে তাই শিক্ষাঙ্গন বলেই মনে করেন দেবযানী সিংহ, দেবলীনা সিংহ বা সুমিতকুমার রায়রা। রাজ্যের মন্ত্রী তথা নাট্য ব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসুর শৈল্পিক ভাবনায় তৈরি দমদম ব্রাত্যজনের ‘দেবদাস’। তিনিই এই নাটকের মূল কারিগর। আর তাঁর উদ্যোগেই এই নাটকে কাজ করছেন একঝাঁক তরুণ-তরুণী। আর মঞ্চ যে তাঁদের প্রথম প্রেম, সেটা সুমিত, দেবলীনা, দেবযানীদের দাপটেই প্রমাণ।

প্রান্তিক চৌধুরীর পরিচালনায় এযুগের দেবদাস-এ যেমন উঠে এসেছে সমকালীন বিষয়, তেমন চরিত্ররাও আধুনিক। পুরনো দেবদাস-এর আঙ্গিকে বর্তমান প্রজন্মকে ভালো ভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।
শরৎচন্দ্রের দেবদাস-এ বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে পার্বতী আর চন্দ্রমুখী। দমদম ব্রাত্যজনের উপস্থাপনায় সেই সুর বজায় ছিল। মত্ত দেবদাসের মুখে বারবার পারুর নাম শুনে হিংসায়, রাগে জ্বলে ওঠে চন্দ্রমুখী। কিন্তু বাস্তবে পার্বতী আর চন্দ্রমুখীর চরিত্রে অভিনয় করা দেবলীনা ও দেবযানী সহোদরা। তাই দিদি ‘চন্দ্রমুখী’-র কাছেই অভিনয়ের প্রথমপাঠ ‘পার্বতী’-র। দিদিও পরম যত্নে বোনকে উৎসাহ দেন। তবে, খুনসুটিও কম চলে না। অভিনয় শেষে গ্রিনরুমে কে, কার জিনিস গুজিয়ে নেবেন তা নিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধতে বাধতেও বরাত জোরে আটকে যায়।

আর এযুগের ‘দেবদাস’ সুমিতও মঞ্চকেই প্রাধন্য দেন সবচেয়ে বেশি। তবে, সিরিয়ালের অফার এলে ভেবে দেখতে পারেন তিনি। যে চরিত্রে এর আগে, দিলীপ কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শাহরুখ খানরা অভিনয় করেছেন, সেই চরিত্র তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জিং ছিল তো বটেই। কিন্তু অনুকরণের রাস্তায় হাঁটেননি আজকের দেবদাস। এই ধরনের কাজ নতুন প্রজন্মকে শুধু নাটক দেখা নয়, মঞ্চে অভিনয়ের দিকেও টানবে বলে মনে করছেন নাট্যপ্রেমীরা।

দেখুন ভিডিও…

আরও পড়ুন-আজ সোনিয়ার ডাকা বৈঠকে যাচ্ছেন না মমতা-মায়াবতী, বিরোধী ঐক্যের ফাটলে স্বস্তিতে বিজেপি

Previous articleইরাকের মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ফের হামলা
Next articleইয়েচুরিকে পাশে বসিয়ে বিরোধী দলের বৈঠকে রাহুল