“তুমিই সেরা” বার্তার মধ্য দিয়ে জমকালো সমাবর্তন অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ের

অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান ঘিরে বুধবার বারাসতের ক্যাম্পাস ছিল জমজমাট। ছিল চাঁদের হাট। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্জুন মালহোত্রা। যিনি দেশের একজন সফল শিল্পপতি। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ললিত আনন্দ। এছাড়াও ছিলেন আরও বিশিষ্ট জন এবং সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা। এদিন সমাবর্তন অনুষ্ঠানে “ডিএসসি” সম্মানে ভূষিত করা হয় প্রযুক্তিবিদ এবং দার্শনিক রুমা আচার্যকে। তাঁকে সম্মান জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সমিত রায়।

অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের উদ্দেশে অর্জুন মালহোত্রা বলেন, “প্রতিটি মানুষের মধ্যে নিজস্বতা আছে। তোমাদের সকলের মধ্যেই পৃথক পৃথক গুণ আছে। জীবনে সফলতা পেতে হলে সেটাকে তুলে ধরতে হবে। যখন তোমরা কোনও ইন্টারভিউ দিতে যাবে বা পরীক্ষায় কোনও প্রশ্নের উত্তর দেবে তখন তোমাকে অন্যদের থেকে আলাদা হতে হবে। এবং প্রমাণ করতে হবে বিষয়টিতে তুমি সবচেয়ে দক্ষ। তুমিই সেরা। কিন্তু যদি সেখানে ভাবতে শুরু করো, কীভাবে করবো, কী উত্তর দেবো। তাহলে ব্যর্থতা তোমার সঙ্গী হবে।”

 

সমাবর্তন অনুষ্ঠান থেকে আচার্য সমিত রায়ের বার্তা, “উন্নতমানের শিক্ষাদানের মধ্যে দিয়ে আমরা সর্বদাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশ ও বিদেশের দরবারে খ্যাতির সঙ্গে তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর। আমাদের লক্ষ্য থাকে বাস্তবসম্মত এবং বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও আকর্ষণীয় এবং অভিনব কোর্স চালু করার। যে কাজে আমরা অনেকটাই সফল। শিক্ষা এবং শিল্পকে সমন্বয় করা আমাদের আরও একটি উদ্দেশ্য। সেভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কোর্স চালু করেছি আমরা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের গুণগতমানও অন্যদের থেকে অনেকটাই আলাদা। একাডেমিক, শিল্পোদ্যোগ এবং টেকনোলজিক্যাল, সব বিভাগেই দেশের সেরা শিক্ষক নিয়োগ করি আমরা।”

প্রসঙ্গত, এদিনের এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২৪৩জন স্নাতকস্তরে, ৬৩ জন স্নাতকোত্তর এবং বিভিন্ন বিভাগে ৫০জন পড়ুয়াকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

 

উল্লেখ্য, রাজ্যে এই প্রথম কোনও শিল্পোদ্যোগ কলেজ করছে অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগে এমনই খুশির খবর শুনিয়ে ছিলেন অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সমিত রায়। এই প্রসঙ্গে আচার্য সমিত রায় জানান, সত্তর-আশির দশকে এই বাংলায় অনেক উদ্যোগপতি তথা শিল্পপতি ছিলেন। তাই আগামীদিনে আরও বেশি করে এই বাংলা থেকে উদ্যোগপতি তুলে আনাই এই শিল্পোদ্যোগ কলেজের অন্যতম উদ্দেশ্য।

তিনি আরও জানিয়ে ছিলেন, পড়াশুনার ইন্ডাস্ট্রি কানেক্টেড হওয়া প্রয়োজন। কারণ, সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে ডিগ্রির থেকেও বেশি জরুরি স্কিল ও দক্ষতা। অ্যাডামাসের শিল্পোদ্যোগ কলেজে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নামী অধ্যাপকরা পড়াতে আসবেন। শিল্পপতির আসবেন পড়ুয়াদের সামনে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে।

শিল্পোদ্যোগ কলেজের পাশাপাশি অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয় মিডিয়া এবং কমিউনিকেশন স্কুলও করছে। যা পূর্ব ভারতে প্রথম। এই স্কুলে দুটি ব্যাচেলর ও পাঁচটি মাস্টার কোর্স চালু হবে। একই সঙ্গে বিএসসি মিডিয়া টেকনোলোজিও পড়ানো হবে এখানে। বিশ্বের ৪১টি নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করে অ্যাডামাস। শুধু তাই নয়, এখানকার পড়ুয়ারা ওইসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সঙ্গে যাতে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে, সেদিকেও সচেষ্ট এই বাঙালি প্রতিষ্ঠাতার এই জনপ্রিয় অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়।

Previous articleহুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল জলের ট্যাংক
Next articleপ্রার্থী না করে বার্তা শোভনকে, তৃণমূলে ফিরতে হলে মানতে হবে রত্নাকে