মালখানার অস্ত্র পাচার করে দিল সাব ইন্সপেক্টরই!

এ তো শর্ষের মধ্যে ভূত। মালখানার দায়িত্ব যার হাতে, অভিযোগ তিনিই নাকি মালখানায় গচ্ছিত আগ্নেয়াস্ত্র পাচার করে দিয়েছেন। ফলে লালগড় থানার সাব ইন্সপেক্টর তারাপদ টুডু, এক এনভিএফ কর্মী সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হলো। প্রশ্ন উঠেছে, এইসব অস্ত্র মাওবাদী কিংবা সন্ত্রাসবাদীদের হাতে যাওয়ার অর্থ তো দেশদ্রোহিতার সমান। তদন্ত শেষে আদালতের সিদ্ধান্তের উপর নজর রয়েছে সকলের।

তারাপদ টুডু জামবনি থানায় যোগ দিয়েছেন। তার আগে ছিলেন লালগড় থানায়। জামবনিতে যাওয়ার আগে মালখানার দায়িত্ব বোঝাতে গিয়ে দেখা যায় ১৮টি একনলা ও দোনলা আগ্নেয়াস্ত্রর হদিশ নেই। তারাপদ জানান, এগুলির মালিক নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তিনি কাগজ দেখাতে পারেননি। জেরার মুখে পড়ে তারাপদ জানান, তিনি এনভিএফ কর্মী লক্ষ্মীরাম রানার সহায়তায় সেগুলি পাচার করেছেন। তাদের সাহায্য করে এলাকার দুই বাসিন্দা। এরপর লালগড় থানার ওসি অরিন্দ ভট্টাচার্য তারাপদ সহ চারজনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর করে গ্রেফতার করেন তাদের। চারজনেরই পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে।

Previous articleঅনুপমকে ‘জোকার’ বললেন নাসির, পাল্টা ‘নেশাখোর’ তকমা!
Next articleরাজনৈতিক সুবিধাবাদের শিকার সুভাষচন্দ্র, কনাদ দাশগুপ্তর কলম