তৃণমূলের উদ্বেগ বাড়িয়ে ৫দিনে মিম কত সদস্য সংগ্রহ করল জানেন কী!

বিধানসভা ভোট হতে আর এক বছর। পুরসভার ভোট কড়া নাড়ছে দুয়ারে। তার মাঝেই তৃণমূলের রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার মতো ঘটনা। রাজ্যে সদ্য পা রাখা আসাউদ্দিন ওয়েসির এআইএমআইআইএম বা মিম তিন লক্ষ সদস্য সংগ্রহ করে ফেলল। সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমে মাত্র তিন দিনের মাথায় তারা তিন লক্ষ সদস্য সংগ্রহ করেছে বলে দাবি। এই সংখ্যা যে আগামী দিনে আরও বাড়বে তার প্রাথমিক ইঙ্গিত দিয়েছে এই অভিযান। রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২২০টি আসন আপাতত টার্গেট।

ইতিমধ্যেই তারা সীমান্ত এলাকার জেলাগুলিতে পার্টি অফিসও খুলে ফেলেছে। দার্জিলিংয়ে সদ্য অফিস খুলেছে। এছাড়া মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিমাজপুর সহ ৫৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে পার্টি অফিস খোলা হয়ে গিয়েছে। সদস্য সংগ্রহ অভিযানে কী বলছে মিমের সদস্যরা? মূল বক্তব্য একটাই — সিএবি ভোটাভুটির সময়ে তৃণমূলের ৮সাংসদের অনুপস্থিত ছিলেন কেন? ক্ষমতাসীন দলের আসল ভূমিকা কী, তা দিনের আলোর মতো পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে এই পদক্ষেপেই।

সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, মিম সরাসরি আক্রমণ করছে তৃণমূলকে। অথচ যে দল দেশে সিএএ, এনআরসি বা এনপিআর আনতে চাইছে তাদের বিরুদ্ধে একটিও প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে না। এটা থেকেই অনেকে ধারণা করছেন, আসলে মিমকে বাংলায় বিজেপিই হাতে ধরে নিয়ে এসেছে। লক্ষ্য তৃণমূলের ক্যাপটিভ সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসানো। শেষ দুটি বিধানসভা ভোটে দেখা গিয়েছে, সংখ্যালঘু ভোটের বেশিরভাগটাই চলে যাচ্ছে তৃণমূলের বাক্সে। বিজেপি এই ভোট ব্যাঙ্কে ফাটল ধরাতেই মিমকে আপ্যায়ন করে ডেকে এনেছে। লক্ষ্য, শাসক দলের ২-৩% ভোট কাটা, যা তারা মিমকে দিয়ে করতে চায়। আর সে উদ্দেশ্যে সফল হলে বিজেপির ধারণা অনেক হিসাব উল্টে যেতে পারে। যদিও তৃণমূল নিশ্চিত বিজেপির এই মিম অভিযান মাঠেই মারা যাবে। বাংলার মানুষ কোনও অশুভ শক্তিকে বরদাস্ত করবে না।

Previous articleবিপ্লব দেবের রাজ্যে অরাজকতা, কোর্টের নির্দেশ মানছে না জেল
Next articleআধার কার্ড হচ্ছে না, এনআরসি আতঙ্কে আত্মহত্যা রিকশা চালকের