Monday, August 25, 2025

KMC vote 85: তিনি “না” বলেন না, তাই মানুষও “না” বলে না দেবাশিসকে

Date:

Share post:

কলকাতা পুরসভা এলাকার অন্যতম আভিজাত্য পূর্ণ এলাকা ৮৫ নম্বর ওয়ার্ড। দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক, গড়িয়াহাট, মতিলাল নেহরু রোড নিয়ে গড়ে উঠেছে এই ওয়ার্ডটি। মূলত, শিক্ষিত, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার বড় পদে চাকুরিরত, বড় ব্যবসায়ী মানুষের বসবাস এখানে। আর বছরের পর বছর ধরে এই এলাকা থেকেই হাসতে হাসতে জিতে আসছেন মেয়র পারিষদ (উদ্যান ও ক্রীড়া) দেবাশিস কুমার। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই দাবি এলাকাবাসীদের।

শুধু নিজের ওয়ার্ড নয়, কলকাতা পুরসভার অন্যতম জনপ্রিয় ও দাপুটে কাউন্সিলর তিনি। শোভন চট্টোপাধ্যায় ছেড়ে যাওয়ার পর মেয়র হিসেবে তাঁর নামটিও আলোচনায় ছিল। এলাকায় দক্ষ সংগঠক হিসেবেও পরিচিত তিনি। তাই তো তিনি তৃণমূলের খাসতালুক দক্ষিণ কলকতা জেলা সভাপতি। যদিও এলাকায় প্রকৃত জননেতা বলেই সুনাম আছে দেবাশিস কুমারের। কারণ, কাজের ক্ষেত্রে রং দেখেন না তিনি। সেটা ত্রিধারা সম্মেলনীর পাশে দেবাশিস কুমারের বাড়ি কিংবা ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডের লোহাপট্টির পার্টি অফিস তার সাক্ষ বহন করে। তাই তো, অতীত জানে বিনা প্রতীকেও ভোটে লড়ে জেতার ক্ষমতা রাখেন তিনি।

সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাড়ির অফিস। তারপর চলে যান পার্টি অফিস। মিনিটে মিনিটে মানুষের আনাগোনা। নাম-পদবি পর্যন্ত জানতে চান না। কার মেয়ের বিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কার ছেলে স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না। কে বাবার হাসপাতালের চিকিৎসার খরচ বহন করতে পারছেন না, স্বামী-স্ত্রী’ লড়াই মুহূর্তেই সমস্যার সমাধান। এলাকাবাসীর মুশকিল আসানের নাম দেবাশিস কুমার। সারা বছর ধরে ওয়ার্ডের মানুষের যে কোনও সমস্যায় ডাকলেই ছুটে যান তিনি। কেউ কোনও কাজ নিয়ে এলে “না” বলতে পারেন না। তাই ভোটযুদ্ধে মানুষও তাঁকে “না” বলেন না।

ওয়ার্ডের কাজ করার পাশাপাশি পুরসভার দুটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। তিনি মেয়র পারিষদ উদ্যান এবং ক্রীড়া। পুর অধিবেশনে তাঁর কাজ নিয়ে বিরোধীও সমালোচনা করতে হাজারবার ভাবেন।

বিশ্বের যে কোনও উন্নত শহরে সৌন্দর্য তার আকর্ষণ বাড়ায়। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শহরজুড়ে ব্যাপক সবুজায়ন হয়েছে। গ্রিন সিটি প্রকল্পে রাস্তার পাশে লাগানো হয়েছে গাছ। তৈরি হয়েছে গার্ডেই। যে এলাকাগুলি আজ থেকে দশ বছর আগেও নোংরা-আবর্জনার স্তূপ হয়ে থাকতো, সেগুলি এখন ছোট ছোট পার্কের রূপ পেয়েছে। এমনকী, আগে কলকাতা শহরের রাস্তার ডিভাইডারে লোহার রেলিং করা থাকতো। এখন দুটি লেনকে পৃথক করছে গাছ। গঙ্গারপাড় ধরে হয়েছে সবুজায়ন। তৈরি হয়েছে পার্ক। যা কলকাতা শহরকে আরও মনোরম করে তুলেছে।

শহরে খেলাধুলার ব্যাপক মান উন্নয়নে হয়েছে মেয়র পারিষদ ক্রীড়া দেবাশিস কুমারের হাত ধরে। এরকম একটি দফতর যে কলকাতা পুরসভার আছে, তা দেবাশিস কুমারের কাজের জন্যই মানুষ সর্বপ্রথম জানতে পেরেছে। শহরের কোনা কোনা থেকে ক্রীড়া প্রতিভা তুলে আনার জন্য ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। কারণ, দেবাশিস কুমার মনে করেন ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নতি করতে হলে তৃণমূলস্তর থেকেই প্রতিভার অন্বেষণ প্রয়োজন। এবং সেই কাজকে সফল করতে ক্রিকেট থেকে ফুটবল, হকি থেকে দাবা, ভলি থেকে টেনিস–সবখেলার ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে স্কুল পর্যায় থেকে বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতা চালু করেছেন। যার মধ্যে জনপ্রিয় “মেয়র্স কাপ”।

সব মিলিয়ে তাঁর কাজ আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে। শুধু তাঁর ওয়ার্ড নয়, তাঁর কাজের সুফল পাচ্ছে অন্য ওয়ার্ডেও।

আরও পড়ুন-ঢাকায় এই প্রথম পুরনিগমের ভোটগ্রহণ চলছে ইভিএমে

spot_img

Related articles

হাওড়ায় বৃদ্ধ খুনের নেপথ্যে সমকামী সম্পর্ক-ব্ল্যাকমেইল! তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

হাওড়ায় বৃদ্ধ খুনের নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার সালকিয়ার অরবিন্দ রোডের বাসিন্দা অসীম দে (Asim de) খুন...

গাড়ির মালিকানা বদল ও রেজিস্ট্রেশন নবীকরণে বড় ছাড়, প্রক্রিয়া সহজ করল পরিবহণ দফতর 

রাজ্যের নন-ট্রান্সপোর্ট গাড়ির মালিকানা বদল ও রেজিস্ট্রেশন নবীকরণের জটিলতা এবার অনেকটাই সহজ হল। পরিবহণ দফতরের নতুন সিদ্ধান্তে গাড়ি...

ভোটার ও বিরোধীদের রুখতে E² ব্যবহার করে বিজেপি: তোপ অভিষেকের

এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার কমিশনের ভূমিকা যে সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট সেই অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ...

কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতলেন মীরাবাই চানু

একছরের বিরতি ভেঙে ফিরেই বিরাট সাফল্য মীরাবাই চানুর(Mirabai Chanu)। কমনওয়েলথ(Commonwealth) চ্যাম্পিয়নশিপে রেকর্ড গড়ে সোনা(Gold Medal) জিতলেন মীরাবাই(Mirabai Chanu)।...