পিপিএফ-এসএসসি তে সুবিধা বাড়িয়ে মধ্যবিত্তের সঞ্চয় বাড়াতে চায় অর্থ মন্ত্রক

ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সঞ্চয়ের পরিমাণ কমেছে মধ্যবিত্তের । এই বিতৃষ্ণাই অর্থনীতির ঝিমুনির প্রধান কারণ বলে মনে করছেন মোদি সরকারের আর্থিক উপদেষ্টারা।

সংসার খরচ, সঞ্চয় কমেছে কেন? প্রথম কারণ, আয় কমা বা প্রত্যাশিত হারে না-বাড়া। দ্বিতীয় কারণ, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা।

অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে মধ্যবিত্তদের এই বিতৃষ্ণা কী ভাবে কাটানো যায়, বাজেটে তার রাস্তা খুঁজছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

অর্থ মন্ত্রক এমন ব্যবস্থা নিতে চাইছে, যাতে এক দিকে মধ্যবিত্তের হাতে খানিকটা বাড়তি টাকা থাকে এবং পাশাপাশি তাঁরা সঞ্চয়ে উৎসাহী হন। মন্ত্রকের কর্তাদের মতে, হাতে বাড়তি টাকা থাকলে মধ্যবিত্তেরা কেনাকাটা বাড়াবেন বলে আশা করা যায়। তাতে বাজারের স্বাস্থ্য ফিরবে। আর সঞ্চয় বাড়লে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি শিল্পে ঋণ দেওয়ার জন্য বাড়তি তহবিল পাবে। সরকার পরিকাঠামো খাতে ১০০ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করার কথা ঘোষণা করেছে। সঞ্চয় বাড়লে সেই টাকা জোগানোও সহজ হবে।

এ ছাড়া, সেস-সারচার্জ তুলে দেওয়ার কথা চলছে। এখন আয়করের উপরে ৪% শিক্ষা সেস দিতে হয়। ৫০ লক্ষ টাকার বেশি আয়ে সারচার্জ ১০%।

৮০সি ধারায় প্রভিডেন্ট ফান্ড, জীবন বিমার মতো বিভিন্ন খাতে ১.৫ লক্ষ টাকা সঞ্চয়ে আয়কর ছাড় মেলে। এর উপরে গৃহঋণে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুদ, জাতীয় পেনশন প্রকল্প, নিজের ও বাবা-মায়ের জন্য মেডিক্লেমের মতো বেশ কিছু খাতে ব্যয় করা টাকার উপরেও ছাড় মেলে। এই সমস্ত ছাড়যোগ্য আয় মোট আয় থেকে বাদ দিলে করযোগ্য আয় বার হয়।

ফলে, নতুন আয়কর ব্যবস্থার সুবিধা পেতে হলে পুরনো কর-ব্যবস্থার অনেক সুযোগসুবিধাই আয়করদাতাদের ছাড়তে হবে, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Previous articleসিরিজে কিউইদের পর্যুদস্ত করেও শাস্তি পাচ্ছেন কোহলিরা
Next articleওয়েব সিরিজ ‘ফেলুদা ফেরত’ সবথেকে বেশি উপভোগ করেছেন স্বয়ং পরিচালক