পয়সা থাকলে শিক্ষা পাবে, বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে বুঝিয়ে দিল কেন্দ্র

শিক্ষায় বাণিজ্যকরণের বিরুদ্ধে এবং সকলের জন্য শিক্ষার দাবিতে এস.এফ.আই-এর লড়াই চলছে। এরইমধ্যে দেশের প্রশাসনিক ভার নেওয়ার পর থেকে প্রতি বাজেটের মতো এই বাজেটেও শিক্ষায় সরকারি বরাদ্দ কমালো বিজেপি সরকার। গতকাল অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন শিক্ষাক্ষেত্রের যে বাজেট পেশ করেন, তাতে শিক্ষায় বেসরকারিকরণের উদ্যোগ স্পষ্ট। একইসঙ্গে এই বাজেটের ফলে দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের কাছে শিক্ষার অধিকার ‘বিলাসিতা’র পর্যায়ে পৌঁছোবে বলেই মনে করছে শিক্ষামহল। বারবার শিক্ষায় পরিকাঠামো বৃদ্ধি, উন্নত ও স্মার্ট ক্যাম্পাসের দোহাই দিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগ ডেকে আনতে চাইছে এই সরকার। একইসঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলো থেকে ঋণ নিয়ে শিক্ষায় আর্থিক যোগান দেওয়ার পরিকল্পনা করছে এই সরকার। যা সাধারণ পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের জন্য শিক্ষার প্রতিকূল। পাশাপাশই সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বা পিপিপি মডেলে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবে বলে মনে করছে সরকার। যা ডাক্তারি সহ বিভিন্ন কোর্সের ফি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে। সরকার গত বাজেটের থেকে এই বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বেড়েছে বলে দাবি করলেও এস.এফ.আই. পরিসংখ্যান দিয়ে প্রমাণ করেছে আসলে বরাদ্দ কমিয়েছে সরকার। এস.এফ.আই.-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে শিক্ষাখাতে ব্যয় বরাদ্দ ৪.৬% থেকে এবারে নামিয়ে আনা হয়েছে ৩.২%-এ। এস.এফ.আই. শিক্ষায় এই তীব্র সরকারি অবহেলার বিরুদ্ধে তাদের লড়াই চালিয়ে যাবে। একইসঙ্গে নয়া শিক্ষানীতি কার্যকর করার কথাও জানিয়েছে সরকার। এর আগেও সরকার এই ভ্রান্তনীতি প্রয়োগে সচেষ্ট হয়েছিলো। কিন্তু এস.এফ.আই-এর নেতৃত্বে দেশের সমস্ত ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষানুরাগী মানুষদের আন্দোলনের মুখে পড়ে সরকার পিছু হটে। এই হঠকারী শিক্ষানীতি আবারও প্রয়োগের চেষ্টা হলে এস.এফ.আই. রাস্তায় থাকবে শিক্ষাকে সাথে নিয়েই। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষায় এই নজিরবিহীন বেসরকারিকরণ ও অবহেলা শিক্ষার প্রতি এই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরূপতা ও অবহেলাই বারবার স্পষ্ট করছে। শিক্ষাস্বার্থে, ছাত্রদের স্বার্থে এই শিক্ষাক্ষেত্রে সমস্ত অরাজকতার বিরুদ্ধে ও শিক্ষায় বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে এস.এফ.আই. লড়বে। শিক্ষার স্বার্থে এরাজ্যের সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের এই লড়াইয়ে সঙ্গে থাকার আহ্বান জানায় এস.এফ.আই।

( রাজ্য কমিটির সদস্য, এসএফআই)

Previous article৪০ বছর পর প্রকাশ্যে আসতে চলেছেন পরেশ বড়ুয়া
Next articleকানহাইয়ার গাড়ি লক্ষ্য করে দুষ্কৃতী হামলা