অমিত শাহর কৌশলই এবার চ্যালেঞ্জের মুখে

লোকসভা ভোটে মোদি ঝড়ের দৌলতে বিজেপি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায়। আর তার ঠিক পরপরই একের পর এক বিধানসভা ভোটে খারাপ ফল, লজ্জার হার। এই প্রতিটা ভোটেই দলের রণনীতি ও ভোট-কৌশল তৈরির দায়িত্বে ছিলেন একমেবদ্বিতীয়ম অমিত শাহ। মিডিয়ার ভাষায় আজকের সময়ের রাজনীতির চাণক্য। দিল্লি ভোটের কিছুদিন আগে বিজেপি সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহই ছিলেন রাজধানীর সম্মানের লড়াইয়ের মূল স্ট্র্যাটেজিস্ট। শাহিনবাগ, দেশদ্রোহ, পাকিস্তান, জাতীয়তাবাদের সেই চর্বিতচর্বণে মেরুকরণের অ্যাজেন্ডা নিয়ে নিজে দায়িত্ব নিয়ে প্রচার করেছেন। ফল কী হল? আপের নিরঙ্কুশ জয়ের তোড়ে ভেসে গিয়েছে আধুনিক চাণক্যর যাবতীয় কূটকৌশল। মানুষ !বুঝিয়ে দিয়েছেন, স্থানীয় ইস্যু ছেড়ে লোকসভার অ্যাজেন্ডাই বিধানসভায় চালানোর চেষ্টা করলে কী হয়!

অতএব বিজেপির এই পরাজয় যেমন অভিনেতা কাম নেতা মনোজ তিওয়ারির নেতৃত্বে দিল্লি রাজ্য কমিটির ব্যর্থতা, একইভাবে ব্যক্তি অমিত শাহেরও। জেপি নাড্ডা তো মাত্র কদিন হল দলের দায়িত্বে, মোদিও দিল্লির ভোটে খুব বেশি প্রচার করেননি। গোটা নির্বাচনী কৌশল সাজিয়ে দিয়েছেন শাহই। অনুরাগ ঠাকুর বা পরদেশ ভার্মাদের লাগামছাড়া উসকানি ও শাহিনবাগের প্রতিবাদকে লাগাতার আক্রমণের চিত্রনাট্য তাঁরই অনুমোদিত। এরপরেও এই হার। দলের নির্বাচনী ম্যানেজারদের সংখ্যাতত্ত্ব বিশ্বাস করেই কি জয়ের অবাস্তব স্বপ্ন দেখেছিলেন শাহ? নাকি বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের অভাব আর আপের ‘মডেল’ উন্নয়নের জোড়া ফলার সামনে অন্য কোনও বিকল্প খুঁজে পাননি তিনিও? ভোটের ফলেই স্পষ্ট, শেষ পর্যন্ত মেরুকরণে মেতে থাকার পরিণতি অমিত শাহকে বুঝিয়ে ছেড়েছে দিল্লিবাসী।

আরও পড়ুন-মিথ্যেবাদীদের পরাজয় হয়েছে, কেজরিকে শুভেচ্ছা চিদম্বরমের

Previous articleপালাতে গিয়ে ১৫ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু!
Next articleফের ভিডিও বার্তায় দেশে ফেরানোর আর্জি বাংলার ছেলের