দেড় বছরে হাতছাড়া ৬ রাজ্য, বিজেপিতেই প্রশ্ন, হারছি কেন?

দেড় বছরে ৬ রাজ্য। বিজেপিমুক্ত সরকার। যে দিল্লি জয়ের স্বপ্ন দেখছিল মোদি-অমিত জুটি, সেখানে প্রাপ্তির ভাঁড়ারে মাত্র ৭ আসন। অথচ মাস আটেক আগে লোকসভা ভোটে ৭ আসনের সাতটিই গিয়েছিল বিজেপির পকেটে। ভোটও ছিল ৫০% -এর বেশি। সেখান থেকেই জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু। কিন্তু দিল্লির মানুষ বুঝিয়ে দিলেন, দিল্লির শাসন থাকবে কেজরিওয়ালের হাতে। মোদি-অমিতে তাঁরা আস্থা রাখছেন না।

কেন এমন ভরাডুবি? কেন আঠারো মাসে পরপর মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড,তেলেঙ্গানা, দিল্লি হাতছাড়া? দিল্লি দখলে মোদি-অমিত তো ছিলেনই, সেই সঙ্গে ২৭০ সাংসদ আর ৭০জন মন্ত্রীকে প্রচারে নামিয়েছিল বিজেপি। তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। কিন্তু এই হারের অসুখটা কী? কিংবা দাওয়াই বা কী? দলের দুই সাংসদ ও প্রার্থী যে কথা বললেন, সেখানেও সেই সুর। স্বামী বলেছেন, বহু রাজ্যে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, রাখতে পারিনি। তার ফল হাতেনাতে পেয়েছি। দিল্লির প্রার্থী কপিল মিশ্র বলেন, কিছু গড়বড় হচ্ছে। খতিয়ে দেখা দরকার। সাংসদ-ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর বললেন, দিল্লির মানুষকে কেন আমরা বোঝাতে পারিনি, তা ভেবে দেখা দরকার। আম বিজেপি কর্মীরা বলছেন, মোদি-অমিত ক্লিশে হয়ে গিয়েছে। নতুন নেতা নেই। চাড্ডাকেও হাত ছড়িয়ে খেলতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রার্থীদের নিয়ে অভিযোগ। তবু তাদের প্রার্থী করা হচ্ছে। পাকিস্তান, হিন্দুত্ব নিয়ে অসংখ্য কথা। কিন্তু একটিও কথা নেই দিল্লির উন্নয়ন নিয়ে। সামনে অসম-বিহার-পশ্চিমবঙ্গে ভোট। সেখানেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে গেরুয়া শিবির অটুট থাকবে তো! মোদি-অমিত জুটি বিজেপির ট্রাম্প কার্ড থাকবে তো!

Previous articleশেষ ধাপে এসে রুদ্ধশ্বাস জয় মণীশ সিসোদিয়ার
Next articleএকাধিক পদে নিয়োগ ভারতীয় ডাক বিভাগে, কোন পদে কত শূন্যপদ জানেন?