টুটুর আবেগঘন বক্তৃতা, সব বিতর্ক শিকেয় তুলে এক দেহে লীন বাগান

বাংলায় একটা বহুল প্রচারিত কথা আছে, সর্বান্তকরণে সমর্থন। শনিবার শতাব্দী প্রাচীন মোহনবাগানের বার্ষিক সভায় এটিকের সঙ্গে সংযুক্তি সিদ্ধান্ত ঠিক সেইভাবেই পাশ হল। সভাপতি টুটু বোস ও সচিব সৃঞ্জয় বোসের উপস্থিতিতেই বিদ্রোহের গুঞ্জন উড়িয়ে সভ্যরা জানিয়ে দিলেন, তাঁরা ক্লাব প্রশাসনের সঙ্গে ছিলেন, আছেন, থাকবেন।

অবশ্য বৈঠকের শুরুতেই সভ্যদের মধ্যে আবেগঘন ভাষণে পুরনো টুটু বোস যেন ফিরে আসেন। কেন এই সংযুক্তিকরণ তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ক্লাব সভাপতি বলেন, ক্লাব হয়তো আরও কয়েক দিন চালানো যেত। কিন্তু যেদিন আইএসএল চালু হল এবং দেশের এক নম্বর লিগের শিরোপা পেল, সেদিন থেকে ঠিক করি এই লিগ খেলতে হবে। আমরা মোহনবাগান। আমরা দেশের দু’নম্বর লিগে খেলব! তাই শেষে পর্যন্ত এই চুক্তি। ৮০% শেয়ার ছেড়েছি। কারণ বছরে ৪০কোটি খরচের ক্ষমতা আমাদের নেই। আর এমন একজনকে সঙ্গে নিয়েছি, যিনি ক্লাবের সদস্য, যাঁর বাবাও ছিলেন সদস্য। অর্থাৎ নাড়ির সম্পর্ক।

এরপর লাল-হলুদকে মৃদু খোঁচা দিয়ে টুটু বলেন, গোয়েঙ্কারা এমন এক সংস্থা, যাদের ইস্টবেঙ্গলের স্পনসরের মতো উড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। সত্যি, লাল-হলুদের এখন মাংস কী এঁচোড় খাওয়ারও পরিস্থিতি নেই। কিন্তু চাইব, ওদের দ্রুত মাংস খাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হোক। আরে এই দুই ক্লাব না থাকলে ময়দান অসম্পূর্ণ। ক্লাবের আয়ের চাইতে খরচ যে বেড়েছে, তা হিসাব পেশ করে (২০১৮-১৯) জানান অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত। কেন খরচ তার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, আগামী মরশুমে এই ঘাটতি মেটানার প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন-পুলিশি বাধায় অমিত শাহের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলেন না শাহিনবাগের প্রতিবাদীরা

Previous articleসঙ্কটমুক্ত নয় পোলবা কাণ্ডে আহত দুই খুদে পড়ুয়া, ট্র্যাকিওস্টমির সিদ্ধান্ত চিকিৎসকদের
Next articleদিলীপের শ্লেষ এবার মুখ্যমন্ত্রীকে