দেশপ্রেমী পাত্রী চেয়ে বিজ্ঞাপন! সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল

দেশের যে কোনও ভাষার যে কোনও সংবাদপত্রের ‘পাত্রপাত্রী’ চাই বিভাগে অনেক সময়ই বেশ অন্য ধরনের বিজ্ঞাপন নজরে পড়ে। কখনও সেগুলি হাস্যকর, কখনও সামজিক পরিস্থিতির প্রতিফলন। সিএএ এবং এনআরসি বিরোধিতায় যখন উত্তাল দেশ, তখন পাত্রীর অভিভাবকের ১৯৭১-এর আগের ভারতীয় হওয়ার প্রমাণ প্রয়োজন বলেও বিজ্ঞাপন ভাইরাল হয় স্যোশাল মিডিয়ায়। সেখবর প্রকাশিত হয়েছিল ‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’-এ। কিন্তু এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পাত্রপাত্রী চাই কলমে নয়া বিজ্ঞাপন ভাইরাল। একজন উপার্জনহীন দন্ত চিকিৎসক বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছেন। সুন্দরী, নম্র হওয়ার পাশাপাশি পাত্রীকে কট্টর দেশপ্রেমী হতে হবে- এমনই আবদার বিজ্ঞাপনদাতা ডাঃ অভিনব কুমারের। তবে, শুধু সুন্দরী, দেশভক্তই নন, নিজের আখের গোছাতে পাত্রীকে ধনী হতে হবে বলেও শর্ত রেখেছেন বছর ৩১-এর চিকিৎসক।

তাঁর কথায়, পাত্রীকে অবশ্যই কট্টর দেশপ্রেমী হতে হবে। প্রয়োজনে দেশের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার মনোভাব রাখতে হবে।
তরুণ চিকিৎসকের চাহিদার তালিকা নেহাত মন্দ নয়। পাত্রীকে সন্তান প্রতিপালনে বিশেষজ্ঞ হতে হবে। ভারতীয় হিন্দু, ব্রাহ্মণ বর্ণের কন্যা হতে হবে। ভালো রাঁধুনি হতে হবে। এবং বাড়ি ঝাড়খণ্ড বা বিহারের হতে হবে। এখানেই শেষ নয়, এসবের পরেও ওই পাত্রীর সঙ্গে জন্ম-কুষ্ঠি মিলিয়েই তবেই হবে বিয়ে। কিন্তু এত সব গুণ একজনের মধ্যে পেতে, তাঁকে যে প্রতীক্ষা করতে হবে, তা ভালোই বুঝেছেন পাত্র। তাই তিনি বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, বিয়ের কোনও তাড়া নেই তাঁর। এই বিজ্ঞাপনের সত্যতা যাচাই করেনি ‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’। তবে, এই বিজ্ঞাপন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পাত্রের সমালোচনায় সবর নেটিজেনরা। কেউ লিখেছেন, “বৌয়ের থেকেই সব কিছু আশা করবেন? নাকি আপনি নিজেও কিছু করবেন?” কারও মতে নিজের ছায়াকেই বিয়ে করা উচিত ওই চিকিৎসকের। তবে, বিজ্ঞাপনটি কোন দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে তা জানা যায়নি।

আরও পড়ুন-মহিলা পুলিশ হয়ে গেলেন পুরুষ!

Previous articleমহিলা পুলিশ হয়ে গেলেন পুরুষ!
Next articleশিলিগুড়ি পুরসভায় দুর্নীতির অভিযোগ সরব তৃণমূল