খোঁজ মিলল ‘মিনিমুন’-এর! বনবন করে ঘুরছে পৃথিবীর চারপাশে

চাঁদের মতো দেখতে। তাহলে কি দ্বিতীয় ‘চাঁদ’? চাঁদের মতো জ্যোতি না থাকলেও, তাকে ‘মিনিমুন’ বলছে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ১৫ ফেব্রুয়ারির রাতে উজ্জ্বল এক বস্তুকে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসতে দেখে চমকে গিয়েছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। অবজারভেটরি থেকে মহাশূন্যে চোখ রেখে তাঁরা দেখেছিলেন পৃথিবীকে আঘাত করার মতো কোনও মতলব ছিল না তার। চাঁদের মতো সেও ছন্দে ছন্দে পাক খেয়ে যাচ্ছে পৃথিবীকে। তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘২০২০ সিডি৩’। অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটির লুনার আর প্ল্যানেটরি ল্যাবোরেটরির গবেষণা চলে নাসারই তত্ত্বাবধানে। ‘মিনিমুন’-এর খোঁজ পেয়ে নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানী মহলে হইচই পড়ে গেছে।

ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভের দুই জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্যাসপার ওয়ের্জকোস এবং থিওডোর প্রুনে প্রথম এই ‘২০২০ সিডি৩’র খোঁজ পান। ক্যাসপার বলেন, ‘২০২০ সিডি৩’ কোনও গ্রহ বা নক্ষত্র নয়, আসলে ধূমকেতু থেকে ছিটকে যাওয়া অংশ বিশেষ। পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে আকৃষ্ট হয়ে চলে এসেছে। এই ধরণের মহাজাগতিক বস্তু আগেও পৃথিবীর অভিকর্ষের টানে ছুটে এসেছে। কিন্তু এই বস্তু সেই যে এসেছে, আর তার যাওয়ার নেই।

মাইনর প্ল্যানেট অবজারভেটরির বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই মহাজাগতিক বস্তুর আকার একটি ছোট গাড়ির মতো। পরিধি ৬.২ ফুট থেকে ১১.৪ ফুটের মতো। পৃথিবীর কক্ষপথের সঙ্গে এর কক্ষপথ মিলে গেছে। তাই পৃথিবীকে আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে রেখেই ঘুরে যাচ্ছে ‘২০২০ সিডি৩’। তবে এই মিনিমুন কতদিন পৃথিবীর সঙ্গে জুড়ে থাকবে তা জানা নেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের।

Previous article“দিল্লির হিংসা পরিকল্পিত”, কেন্দ্রকে বিঁধে মন্তব্য মহম্মদ সেলিমের
Next articleকেরালার মন্দিরে পালিতা হিন্দুকন্যার বিয়ে দিলেন মুসলমান দম্পতি