ইডেনে কর্ণাটককে বান্ডিল করে এগিয়ে বাংলা

এল কে রাহুলের কর্ণাটক ১২২ রানে অল আউট। রঞ্জিতে বাংলা এগিয়ে প্রথম ইনিংসে। বাংলার ৩৪২-এর জবাবে পেসারদের মুখে শেষ কর্ণাটক। বাংলা আবার ব্যাট করছে। প্রথম ইনিংসের লিডেই জয়ের কাছে চলে গেছে বাংলা।

ব্যাটে অনুষ্টুপ মজুমদার অপরাজিত থাকলেন ১৪৯ রানে। বলে আগুন ঝরালেন ঈশান পোড়েল-আকাশ দীপ। ঈশান নিলেন পাঁচ উইকেট। আকাশ দীপ নিলেন তিন উইকেট। এই তিনজনের দাপটে কর্নাটকের বিরুদ্ধে ইডেনে রঞ্জি সেমিফাইনালের দ্বিতীয় দিনে চালকের আসনে বাংলা। বাংলার প্রথম ইনিংসে ৩১২ রানের জবাবে ৩৬.২ ওভারে ১২২ রানে শেষ হল কর্নাটক। ১৯০ রানের লিড পেল অভিমন্যু ঈশ্বরনের দল।

রবিবার সকালে নয় উইকেটে ২৭৫ নিয়ে শুরু করেছিল বাংলা। সেখান থেকে দলকে ৩১২ রানে পৌঁছে দেয় বাংলার শেষ উইকেটের জুটি। দশম উইকেটে অনুষ্টুপ ও ঈশান যোগ করেন ৫৪ রান। অনুষ্টুপ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১৪৯ রানে। ২০৭ বলের ইনিংসে অনুষ্টুপ মারেন ২১টি চার ও তিনটি ছয়। বাংলার মোট রানের প্রায় অর্ধেকই তাঁর। রনিত মোরের (৩-৫২) বলে ঈশান বোল্ড হওয়ায় দেড়শোর ঠিক আগে থামতে হল তাঁকে।

ঈশান পোড়েল নতুন বলেও দায়িত্ববোধের পরিচয়  দিলেন। চতুর্থ বলেই ফেরালেন কর্নাটকের ওপেনার রবিকুমার সমর্থকে (০)। স্লিপে ক্যাচ নিলেন মনোজ তিওয়ারি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফের ফেরালেন কর্নাটকের অধিনায়ক করুণ নায়ারকে (৩)। করুণের ক্যাচ ধরলেন স্লিপে থাকা অনুষ্টুপ। পাঁচ রানের মধ্যে দুই উইকেট পড়ে গিয়েছিল কর্নাটকের।

তৃতীয় উইকেট পড়ল ৩৫ রানে। চারে নামা কৃষ্ণমূর্তি সিদ্ধার্থ (১৪) খোঁচা দিলেন আকাশ দীপের বলে। যা ধরলেন সেই মনোজ। চতুর্থ উইকেটে লোকেশ রাহুল ও মণীশ পাণ্ডে ইনিংস মেরামতের চেষ্টায় ছিলেন এর পর। ৫৬ রানে ফিরলেন মণীশ (১২)। তাঁকে বোল্ড করলেন মুকেশ কুমার।

কর্নাটকের হয়ে রীতিমতো ধারাবাহিক দেবদূত পাদিকাল এসেছিলেন ছয়ে। তিনি ঈশানের বলে ক্যাচ দিলেন দ্বিতীয় স্লিপে অনুষ্টুপকে। ফিরলেন চার রানে। ৬৩ রানের মধ্যে কর্নাটকের অর্ধেক দল তখন ফিরে গিয়েছে। এর পর এল মোক্ষম আঘাত। মুকেশ কুমারের বাইরের বল মারতে গিয়ে লোকেশ রাহুল ক্যাচ তুললেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। ছুটে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ তালুবন্দি করলেন অভিষেক রামন। ৬৫ রানে পড়ল আরও এক উইকেট। শ্রীনিবাস সরথ খোঁচা দিলেন ঈশানকে। প্রথম স্লিপে ধরলেন বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন।

অষ্টম উইকেটে অভিমন্যু মিঠুন ও কৃষ্ণাপ্পা গৌতম ৫৬ রান যোগ করে ফলো অনের লজ্জা থেকে বাঁচান কর্নাটককে। কিন্তু তার পরই ফেরেন মিঠুন (২৪)। ঈশানের পঞ্চম শিকার হন তিনি। মিঠুনের ক্যাচ ধরেন আকাশ দীপ। দলীয় ১২১ রানে ফেরেন গৌতমও (৩১)। আকাশ দীপের বলে তাঁর ক্যাচ ধরেন পরিবর্ত ফিল্ডার অগ্নিভ পান। কর্নাটকের ইনিংস শেষ হয় ১২২ রানে। আকাশ দীপের বলে রনিত মোরের ক্যাচ ধরেন উইকেটকিপার শ্রীবৎস গোস্বামী। ঈশানের মতোই বোলিংয়ে নজর কাড়লেন আকাশ দীপ (৩-৩০) ও মুকেশ কুমার (২-৪৬)।

আরও পড়ুন-শহিদ মিনারের সভায় দিলীপ ঘোষ যা বললেন

Previous articleশহিদ মিনারের সভায় দিলীপ ঘোষ যা বললেন
Next articleস্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হয়ে ইস্তফা দিলেন সচিব