দল তাঁকে কাজে লাগাচ্ছে না, শাহকে জানালেন সব্যসাচী দত্ত

‘দলে পেয়েও তাঁকে ব্যবহার করছেন না বিজেপির রাজ্য নেতারা৷ স্বীকৃতিও দিচ্ছে না’৷

মাঝামাঝি কাউকে নয়, সরাসরি অমিত শাহকেই এ কথা জানিয়ে দিলেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত৷ সব্য যখন এই অভিযোগ শাহকে জানাচ্ছিলেন, তখন শাহের পাশেই ছিলেন বঙ্গ-বিজেপির বড়-মেজো-ছোটো মাপের প্রায় সব নেতাই৷ অভিযোগটি এতটাই বাস্তব যে, প্রতিবাদ করা তো দূরের কথা, মুখ বন্ধ করে বিষয়টি হজম করতে হয়েছে রাজ্য নেতাদের৷

গেরুয়া-সূত্রের খবর, গত রবিবার রাজ্য বিজেপির নেতাদের সঙ্গে অমিত শাহের বৈঠকে সব্যসাচী দত্ত এই সুরেই অভিযোগ করেছেন৷ অমিত শাহ ছাড়াও তখন ওই বৈঠকে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক বি এল সন্তোষ। সবার সামনে সব্যসাচী এইভাবেই বিষয়টি ‘বুঝিয়ে’ বলেছেন যে, অন্য দল থেকে আসা তাঁর মতো অনেককেই বঙ্গ- বিজেপির নেতারা কাজে লাগাচ্ছে না। জানা গিয়েছে, সব্যসাচীর এই বক্তব্যকে সেদিন সমর্থন করেন সাংসদ অর্জুন সিং ও বিধায়ক দুলাল বর৷ শাহ-নাড্ডাদের কাছে এভাবে সামনেই সব্যসাচী উষ্মা প্রকাশ করায় বঙ্গ- বিজেপির পদাধিকারীরা ফাঁপড়ে পড়েছেন৷

বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র বেশ কিছুদিন ধরেই নিজস্ব বৃত্তে এই উষ্মা প্রকাশ করছিলেন। সেকথা কানেও যাচ্ছিলো রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর৷ কিন্তু সব্যসাচী যে এভাবে হাটে হাঁড়ি ভাঙ্গতে পারেন, সেটা কল্পনাও করেননি নেতারা৷
বিধাননগরকে হাতের তালুর মতো চেনা সত্ত্বেও
নেতা হওয়া সত্ত্বেও দল তাঁকে কেন নিজের এলাকায় কাজে লাগাচ্ছে না, সেটাই ছিল শাহের কাছে সব্যসাচীর প্রশ্ন।

কিছুটা কাজও না’কি এতে হয়েছে৷ তাঁর ক্ষোভের কথা শোনার এবং জানার পর বিধাননগর পুরসভার ভোট যে তিনি-ই সামলাবেন সেটা বি এল সন্তোষ স্পষ্টভাষায় রাজ্য বিজেপি নেতাদের জানিয়ে গিয়েছেন বলে দলের অন্দরের খবর৷
সব্যসাচী দত্তকে সামনে রেখে সংগঠন মজবুত করতে পারলে বিধাননগরের ভোটে চমক দেখাবে বলেই আশা করছেন বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব৷
কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক প্রায় নেই বললেই চলে৷ সেই পরিস্থিতিতে রাজ্য নেতাদের একাংশের গোয়ার্তুমিতে বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্তকে ‘হাতছাড়া’ করতে যে শীর্ষ নেতারা নারাজ, শাহ-নাড্ডা রবিবার সেই বার্তাই দিয়ে গিয়েছেন৷ এখন দেখার রাজ্য নেতৃত্ব কী করে !

Previous articleভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের অফিসে মদের আসর, মধ্যমণি বিএলআরও!
Next articleKMC VOTE: বামেদের মেয়র প্রার্থী হওয়ার কোনও ইচ্ছাই নেই বিকাশের, নজর রাজ্যসভায়