একে তো লোকসানে চলা, সন্দেহজনক কাজকর্মের অভিযোগ থাকা সংস্থাগুলিকে ঋণ মঞ্জুর। তার উপর ইয়েস ব্যাঙ্কের ঋণ পাওয়া সংস্থাগুলির মাধ্যমে নিজের স্ত্রী ও তিন কন্যার মালিকানাধীন সংস্থায় ঘুষ বাবদ টাকা ঢালা। আর এই কায়দাতেই ঘুরপথে ইয়েস ব্যাঙ্কের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠছে অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন সিইও রাণা কাপুরের বিরুদ্ধে। প্রাথমিকভাবে ইয়েস ব্যাঙ্কের ঋণপ্রাপ্ত ডিএইচএফএল-এর সঙ্গে তাঁর ব্যবসায়িক যোগ থাকার প্রমাণ ও টাকা পাচারের অভিযোগে রাণাকে গ্রেফতার করা হলেও আরও একধিক সংস্থা থেকে তাঁর কিকব্যাক নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং বা টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা শুরু করেছে ইডি। ইয়েস ব্যাঙ্কের আর্থিক অনিয়মের পিছনে তাঁর প্রত্যক্ষ যোগসাজশ নিয়ে চলছে ম্যারাথন জেরা।
ইডির অভিযোগ, রাণা কাপুর ইয়েস ব্যাঙ্কের শীর্ষপদে থাকার সময় লোকসানে ডুবে থাকা এবং অস্বচ্ছ কাজকর্মের অভিযোগ থাকা বহু সংস্থাকে বড় অঙ্কের ঋণ মঞ্জুর করেছে ইয়েস ব্যাঙ্ক। ঋণ শোধ না হওয়ার আশঙ্কা সত্ত্বেও মূলত রাণার নির্দেশেই ব্যাঙ্কের অন্য কর্তারা ঋণ মঞ্জুর করতে বাধ্য হতেন। আর ইয়েস ব্যাঙ্কের ঋণ মঞ্জুর হওয়ার পরই দেখা যেত ওই সংস্থাগুলি রাণার স্ত্রী ও কন্যাদের বিভিন্ন সংস্থায় টাকা ঢালছে। অর্থাৎ কার্যত ঘুরপথে ইয়েস ব্যাঙ্কে আমজনতার রাখা টাকা চলে গিয়েছে কাপুর ও তাঁর পরিবারের আর্থিক তহবিলে। আর ঋণ পাওয়া সংস্থাগুলি কাপুরের ব্যক্তিগত তহবিল ভরিয়ে পরে ব্যাঙ্কের ধার আর শোধ করেনি। ঠিক এধরনের অভিযোগ উঠেছিল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ককর্ত্রী চন্দা কোছারের ক্ষেত্রেও। যে সংস্থাকে তিনি ঋণ মঞ্জুর করেন, সেই সংস্থাই আবার তাঁর স্বামীর সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিল। একই মডেলে ইয়েস ব্যাঙ্কের আর্থিক অব্যবস্থা তৈরি করেছেন প্রতিষ্ঠাতা রাণা কাপুর। তাঁর সঙ্গে আর কারা কারা ষড়যন্ত্রের শরিক ছিলেন এখন তাঁদের খুঁজছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন-পলিটব্যুরোয় ইয়েচুরির নাম খারিজ, সংকটে বাম-কং জোট কণাদ দাশগুপ্তর কলম