করোনা প্যাঙ্গোলিনের উপর ‘আশীর্বাদ’

আপ্তবাক্যটা একটু অন্য রকম ভাবে বললে বলা যায়, কারও সর্বনাশ, তো কারও পৌষ মাস। অন্তত প্যাঙ্গোলিনের দিকে তাকিয়ে এই কথা বলতেই হচ্ছে। করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে আতঙ্কের চেহারা নেওয়ার পরেই, এই ভাইরাস নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। এর মধ্যে উঠে আসে পেঙ্গোলিনের নাম। বন্য জীব-জন্তুদের মধ্যে প্যাঙ্গোলিন বিপুল মাত্রায় পাচার করা হয় চিনে। সেদেশের অত্যন্ত সুস্বাদু, জনপ্রিয় একটি পদ এই প্যাঙ্গোলিনের মাংস। মাংসের পাশাপাশি প্যাঙ্গোলিনের শরীরে থাকা আঁশ থেকে ওষুধ তৈরি করা হয়। সব মিলিয়ে চোরা কারবারীদের নজরে মোস্ট ওয়ান্টেড প্যাঙ্গোলিন। যার জেরে
বর্তমানে বিশ্বে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের মধ্যে প্যাঙ্গোলিনের নাম সবার উপরে। ২০১৬-তেই আন্তর্জাতিক বাজারে প্যাঙ্গোলিন বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। অবৈধ বিক্রি রুখতে মোটা অঙ্কের জরিমানাও ঘোষণা করা হয়েছে। এশিয়ার বাজারে অবৈধ ভাবে প্যাঙ্গোলিন বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়লে ১ লক্ষ ৯ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে।
করোনাভাইরাস মহামারির আকার নেওয়ার পরেই চিনে বন্য প্রাণীর মাংস খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর তার জেরে প্যাঙ্গোলিনের চাহিদাও তলানিতে ঠেকেছে। ফলে করোনাভাইরাসের জেরে নিশ্চিত অবলুপ্তির হাত থেকে এ যাত্রায় বোধহয় রক্ষা পেল প্যাঙ্গোলিন।

Previous article‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’, পথ দেখাচ্ছে ত্রিপুরা
Next articleকরোনা- কোয়ারানটিন ভাঙলে ৫ বছরের জেল, জানাল মস্কো প্রশাসন