ইসরোর দরজা খোলার অপেক্ষায় বর্ধমানের ছাত্রী সুপ্রীতি

আর একটি মাত্র ধাপ। তা পেরোতে পারলেই মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর দরজা খুলে যাবে বর্ধমানের দশম শ্রেণির ছাত্রী সুপ্রীতি ভট্টাচার্যের সামনে। ইসরো ই-মেলে জানিয়েছে, প্রাথমিক বাছাইয়ের তালিকায় তিনি জায়গা করে নিয়েছে সুপ্রীতি। অনলাইন পরীক্ষায় অন্যদের হারাতে পারলেই ইসরোয় যাওয়ার সুযোগ পাবে সে।

বর্ধমান শহর লাগোয়া গোলাপবাগ মোড়ের আমতলায় বাড়ি সুপ্রীতির। পূর্ব বর্ধমানের তালিতের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দশম শ্রেণীর পড়ুয়া। স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য ইসরোর ‘ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রাম ২০২০’-র জন্য আবেদন করেছিল সুপ্রীতি। এই প্রোগ্রামটি যুব বিজ্ঞানী কার্যক্রম বা ‘যুবিকা’ নামে পরিচিত। সারা দেশের আবেদনকারীদের মধ্যে মেধা সংক্রান্ত পরীক্ষায় উপরের দিকে থাকতে হয়। এরাজ্য থেকে মাত্র তিন জন সুযোগ পাবেন।

মাসখানেক আগে ইসরোর ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। স্কুলের পক্ষ থেকে পাঁচজনকে বাছাই করে অনলাইনে আবেদন করানো হয়। এক্ষেত্রে স্কুলের পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের পাশাপাশি অন্য গুণাবলিও প্রয়োজন। আবেদনের ভিত্তিতে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে ইসরো। প্রাথমিক ভাবে বাছাই করা হয়েছে দশ জনকে। যার মধ্যে নাম রয়েছে সুপ্রীতির। এর মধ্যে সেরা তিনজন যেতে পারবে ইসরোয়।

সুপ্রীতির স্কুলের অধ্যক্ষ শুভদীপ দে বলেন, “সুপ্রীতি খুবই মেধাবি। স্কুলের পরীক্ষায় বরাবর ভালো ফল করে। ভরতনাট্যমে জাতীয় স্তরে তার সাফল্য রয়েছে। স্কুল পর্যায়ের খেলাধুলোতেও সে ভালো করে।”  সুপ্রীতির মা সৌরভী ভট্টাচার্য বলেন, “আমার মেয়ের বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা। রোবট নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে। যদি ইসরোয় যেতে পারে তবে সেটা স্কুলের পাশাপাশি আমাদের কাছেও গর্বের ব্যাপার হবে।”

আরও পড়ুন-মোদি-মমতা-বুদ্ধকে গালমন্দ রোদ্দুর রায়ের

 

Previous articleতথ্য গোপন, করোনা আক্রান্ত মহিলার বিরুদ্ধে এফআইআর আগ্রায়
Next articleকরোনার জের, ফাঁকা ধর্মতলার বাস স্ট্যান্ড