পুরসভার ভোট এখন গৌণ। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে, আগে করোনা আতঙ্ক দূর হোক মানুষের মধ্যে। আর সেই মর্মে এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং বিরোধী দলগুলিকে আবেদন করেছে ঘাসফুল শিবির।
তৃণমূলের বক্তব্য, ভোট আসবে ভোট যাবে। কিন্তু করোনা আতঙ্ক যেভাবে মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছে, সেটাকে আগে দূর করা প্রয়োজন। তাই প্রয়োজনে ভোটের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে, আগে করোনা মোকাবিলা প্রয়োজন। তাই প্রয়োজনে ভোট পিছিয়ে যায় যাক, কিন্তু করোনা মোকাবিলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে বিরোধী দলগুলিকে আবেদন করেছে শাসক তৃণমূল।
যেহেতু রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের একটা অঙ্গ, তাই সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, এপ্রিলে কোনওভাবেই হচ্ছে না পুরভোট। আবার মে মাসে রমজান পড়ে যাচ্ছে। তাই পুরভোট জুনের আগে চাইছে না রাজ্য সরকার কিংবা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারও সব জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই নির্দেশকে প্রাধান্য দিতে চাইছে এবার রাজ্য সরকারও।
ফলে পুরসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ জারি হলে, কোন মিটিং-মিছিল কিংবা জমায়েত করা যাবে না। সবদিক বিবেচনা করেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আপাতত পুর নির্বাচন থেকে সরে আসতে চাইছে।
এদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, রাজ্যের শাসক দলকে বাইপাস করে কোনওভাবেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সুতরাং, ধরে নেওয়া যেতেই পারে, জুনের আগে কোনও পুরসভা নির্বাচন হচ্ছে না এ রাজ্যে।