করোনা সতর্কতায় বন্ধ টলিপাড়া থেকে বাজার, কী হাল দৈনিক রোজগেরেদের?

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হল আলাদা থাকা এবং ভিড়, জমায়েত এড়িয়ে চলা। আর এই পরিস্থিতিতে বলিউডের পথে হেঁটে শুটিং বন্ধ টলিউডেও। মানুষের জীবন সবার উপর। সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন সবাই। কিন্তু যাঁরা দৈনিক মজুরিতে কাজ করেন, ১৪দিন কাজ বন্ধ থাকলে তাঁদের কী হবে?

আর্টিস্ট ফোরামের কার্যকরী সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীর কথায়, একদিকে মানুষের জীবনের ঝুঁকি, আরেক দিকে আর্থিক ক্ষতি। তাই খুবই খারাপ লাগছে। তবে, সুরক্ষার কারণে এই সিদ্ধান্ত জরুরি।

 

 

অভিনেতা তথা নাট্য ব্যাক্তিত্ব কৌশিক সেনের কথায় ভাইরাস সংক্রমণ এমন একটা বিষয় সেখানে কারও কিছু করার নেই। নিরাপদে থাকার জন্য এটা জরুরি। তবে, যাঁরা দৈনিক কাজের ভিত্তিতে টাকা পান, তাঁদের ক্ষেত্রে নিশ্চয় খারাপ হল। আবার সিরিয়ালের অভিনেতা-অভিনেত্র্রী ও কলাকুশলীদের দিনের মধ্যে অনেকটা সময় খুব ব্যস্ত শিডিউলের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, সেক্ষেত্রে তাঁরা একটু বিশ্রাম পাবেন। তবে, কাজ বন্ধে ক্ষতি ও সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন কৌশিক সেন।

 

আবার এই সময়টিকে অবকাশ বা ছুটি বলতে নারাজ অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। তাঁর কথায় একটা অজানা, অচেনা রোগে লোকের মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে সতর্কতা খুবই জরুরি। পরিবারের সঙ্গে এই সময় কাটানোর পরামর্শ দিয়েছেন রূপাঞ্জনা মিত্র। কারণ, তাঁর কথায় পরিবারই তো সব। তবে, এর জেরে অনেকেই সমস্যা হবে, সে কথা স্বীকার করেছেন তিনিও।

 

শুটিং না থাকায় মন খারাপ টলিউডের নতুন প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। ছোট ও বড়পর্দার খুবই পরিচিত মুখ দেবপ্রিয় মুখোপাধ্যায়ের জানালেন, “শুটিং না থাকলে মন খারাপ হয়ে যায়”। কিন্তু স্বাস্থ্যই সম্পদ। সুতরাং এটা খুবই প্রয়োজন ছিল বলে মত দেবপ্রিয়র। তবে, এসবের সঙ্গে একটাই প্রশ্ন দৈনিক মজুরিতে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের কী হবে?

এই প্রশ্ন শুধু টলিপাড়ার নয়, প্রশ্ন সব জায়গার। ভিড় এড়াতে শুনশান বাজার। সংক্রমণ ঠেকাতে ট্রেন বাতিল এবং ভিড় এড়াতে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম অনেক বাড়ানো হয়েছে। এর জেরে নগণ্য জনসমাগম স্টেশনেও।

এই পরিস্থিতিতে যাঁরা দিন-আনি-দিন-খাই আমজনতা তাঁদের মাথায় হাত। অনেক জায়গাতেই সরকারি নির্দেশে বন্ধ নির্মাণ কাজ। ফলে ঠিকাদারের থেকে কাজ পাচ্ছেন না দিন মজুররাও। একে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন, তার উপর রোজগার প্রায় বন্ধ। কী করবেন তাঁরা? এই পরিস্থিতির জন্য কোনও ব্যক্তি, নীতি বা সিদ্ধান্ত দায়ী নয়, দায়ী ভাইরাস। দায়ী সংক্রমণের ভয়াবহতা। সেই কারণেই কী তাঁদের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই! কর্মহীন দিনে এই কথাই ভাবচ্ছে সবাইকে।

আরও পড়ুন-লন্ডন থেকে ফিরে কাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ তরুণের, খোঁজ নিল ‘এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ’

Previous articleকরোনা আতঙ্ক: পরীক্ষার্থীদের স্যানিটাইজার দিলেন কোন্নগরের পুরপ্রধান
Next articleরঞ্জন গগৈকে নিয়ে বিস্ফোরক অরুণাভ ঘোষ