“ওরা বিনা পারিশ্রমিকের পাহারাদার, মুখ ফুটে চায় না”, রাস্তার সারমেয়দের পাশে মিমি

মানব সভ্যতাকে বাঁচাতে করোনার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী চলছে যুদ্ধ। আর নরখাদক মারণ ভাইরাস কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে একমাত্র হাতিয়ার লকডাউন। যার মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলেই ঘায়েল করোনাকে। কিন্তু এই লকডাউনের জন্য মানুষকে কিছুটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। সেটা মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষায় আমরা করে চলেছি। কিন্তু যারা অবলা। যাদের কেউ নেই। সেইসব সারমেয়দের এই সময়ে খুব করুণ দশা।

রাস্তাঘাটে যেসব সারমেয় ঘুরে বেড়ায়। যাদের খাবারের সোর্স বেশিরভাগটাই আসতো রাস্তার ধারে বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁর উচ্ছিষ্ট থেকে, তারা আজ অভুক্ত। তাই এই সময় তাদের মুখে একটুকরো রুটি কিংবা একমুঠো ভাত তুলে দেওয়া বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত প্রাণী হিসেবে হয়তো মানুষেরই কর্তব্য। অনেক পশুপ্রেমী অবশ্য এই দুর্দিনের বাজারে নিজেদের সাধ্যমত সারমেয়দের খাবারের ব্যবস্থা করছেন।

বসে নেই অবলাদের অস্তিত্ব সঙ্কটে বসে নেই অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। তাঁর পশুপ্রেম নিয়ে নতুন করে কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনিও প্রতিদিন সারমেয়দের ক্ষুধা নিবারণ করছেন। সদ্য লন্ডন ফেরত মিমি যেহেতু নিজে সেল্ফ আইসলেশনে আছেন, তাই ইচ্ছা থাকলেও রাস্তায় বেরিয়ে নিজে অভুক্ত সারমেয়দের মুখে খাবার তুলে দিতে পারছেন না। কিন্তু বসে নেই তিনি, তাঁর পরিচিতদের মাধ্যমে খাবার তুলে দিচ্ছেন অবলাদের মুখে।

এই প্রসঙ্গে মিমি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে অবলা সারমেয়দের পাশে সকলকে দাঁড়ানোর অনুরোধও করেন। মিমি লিখছেন, “সময়টা অনেকটা খারাপ হয়তো সবার সাথে ওদের জন্য‌ও ! তাই আমার লোকসভায় আমার দলের শুভম তার সকল বন্ধুদের নিয়ে আর ওদের জন্য একটু খাবার নিয়ে ছুটে যাচ্ছে গত কয়েক দিন ধরে।
মানুষ যখন নিজেদের জন্য নিজেরাই সংরক্ষিত করতে ব্যস্ত তখন ওদের জন্য খাবার কই ?

ওরা তো মুখ ফুটে কিছু চায় ও না আমাদের থেকে !! তাই আমার , আপনার যৌথ প্রচেষ্টায় একটু কিছু থাকুক না ওদের জন্য , ওরাই তো বিনা পারিশ্রমিকে পাহারা দিয়ে যাচ্ছে সবার এলাকায় আজও এই দুর্দিনের মধ্যেও …. আসুন না আমরাও একটু ‌এ‌গিয়ে আসি ওদের জন্য।
ভালো হোক সবার …ধন্যবাদ সবাইকে আগামীদিন এমন ভাবেই থেকো সবাই !!”

Previous articleভাইপোর অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া খান পরিবারে
Next article“কড়াকড়ি করুন, বাড়াবাড়ি নয়” লালবাজারে গিয়ে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর