এই প্রতিবেদন আতঙ্কিত করার জন্য নয়, আরও সতর্ক এবং সচেতন করাই লক্ষ্যেই ৷
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে মঙ্গলবার বেশি রাতের খবর, রাজ্যে করোনা- আক্রান্ত আরও ১০ জন। এই খবর অনুযায়ী, আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২জনের।
◾মঙ্গলবার আচমকাই করোনা নিয়ে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যে।
◾করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও।
◾রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৭! মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫।
◾এই অবস্থায় গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।
◾ব্যবস্থা হিসেবে ১ দিনে প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে পাঠানো হয়েছে হোম কোয়ারানটিনে।
◾স্বাস্থ্য ভবন যে বুলেটিন প্রতিদিন প্রকাশ করে, সেই হিসেব অনুসারে সোমবার পর্যন্ত এ রাজ্যে হোম কোয়ারানটিনে পাঠানো হয়েছিল ৪৭,০৯১ জনকে।
◾আর মঙ্গলবার বিকেলে, মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১,৫০,৪৮২।
◾অর্থাৎ একদিনেই হোম কোয়ারানটিনে পাঠানো হয়েছে ১,০৩,৩৯১ জনকে।
◾বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন কঠিন সিদ্ধান্ত না নিলে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে যে কোনও সময়ে।
◾করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন রাজ্যের ৩ আক্রান্ত। তাঁরা হলেন, রাজ্যের প্রথম করোনা আক্রান্ত এক আমলার পুত্র যিনি লন্ডন থেকে ফিরেছিলেন, দক্ষিণ কলকাতার পণ্ডিতিয়া রোডের এক আবাসনের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ী, যাঁর ছেলে ইংল্যান্ড থেকে ফিরেছিলেন, তাঁর মাধ্যমেই সংক্রামিত হয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী এবং স্কটল্যান্ড ফেরত হাবড়ার এক তরুণী।
◾৩ জনকেই বাড়িতে পাঠানো হলেও আপাতত ১৪ দিন তাঁদের থাকতে হবে হোম আইসোলেশনে।
◾সূত্রের বক্তব্য, হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয়েছে ১ করোনা আক্রান্তের। তাঁর পরিবারের আরও ৪ জন এই মুহূর্তে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ওই ব্যক্তি কোথাও গিয়েছিলেন, কি’না তা এখনও জানা যায়নি।
◾ NRS হাসপাতালে এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনিও করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেই রিপোর্ট আসার আগেই প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়। রিপোর্ট পরে এলে জানা যায়, তাঁর দেহেও করোনা-সংক্রমণ হয়েছিল।
◾নাইসেড সূত্রে খবর, সেনা হাসপাতালের কর্নেল পদমর্যাদার এক চিকিৎসক করোনা- আক্রান্ত তাঁর পরিবারের ৩ জন, স্ত্রী, ছেলে,মেয়ের লালারসের নমুনাতে পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। তাঁরাও ভর্তি সেনা হাসপাতালে।
◾আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি আছেন এক ব্যক্তি। তাঁর নমুনাও এ দিন পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে বলে নাইসেড সূত্রে খবর।
◾দমদমের এক বেসরকারি হাসপাতালে এক প্রৌঢ়া ভর্তি রয়েছেন। তাঁর দেহেও মিলেছে কোভিড-১৯-এর হদিশ৷ জানা গিয়েছে, তিনি সম্প্রতি ইতালি গিয়েছিলেন। তাঁর স্বামীও হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
◾হুগলির শ্রীরামপুরে ওয়ালশ হাসপাতালে জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি ২ জনের দেহেও করোনা- সংক্রমণের হদিশ মিলেছে।
◾পঞ্চসায়রের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি নয়াবাদের করোনা- আক্রান্ত বৃদ্ধের যোগসূত্রে এগরায় যাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে আরও ১ জনের রিপোর্ট এ দিন পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। তিনি এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।
______