পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা বিশ্বব্যাঙ্কের

দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরেই পরিযায়ী শ্রমিকরা হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাঁদের বাড়ি হেঁটে বাড়ি ফেরার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। কিন্তু এর জেরে করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা দেখা দিতে পারে, মত বিশ্ব ব্যাঙ্কের। রবিবার, বিশ্ব ব্যাঙ্কের দ্বিবার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় জনসংখ্যা ও জনঘনত্ব অনেকটাই বেশি। ফলে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সংক্রমণ রোধ করা যথেষ্ট কঠিন। রিপোর্ট অনুযায়ী, এরকম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় লম্বা পথ অতিক্রম করে বাইরের লোকজন এলাকায় ঢুকলে ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
শুধু ভারতে নয়, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাতেও লকডাউন পরিস্থিতিতে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা। আর সেই যাত্রাপথেই কোথাও সংক্রমিত হলে, নিজের এলাকায় ফিরলে তাঁর সংস্পর্শে আসা বাকিদেরও সংক্রমণ হতে পারে। এই আশঙ্কা বিশ্ব ব্যাঙ্কের। তবে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে ৬৫-এর বেশি বয়স্কদের সংখ্যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা চিনের তুলনায় কম। তাই মৃত্যুর হার সেই দেশগুলির সংখ্যায় প্রাণহানির আশঙ্কা কম বলে মত বিশ্বব্যাঙ্কের।
শ্রমিকদের বাড়ি ফেরা আটকানো সব সময়ে সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে এই যাত্রাপথে পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। খাদ্য ও পানীয় জলের অভাব যাতে না হয়, সেদিকেও সরকারকে নজর দিতে পারামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Previous articleকরোনা আক্রান্ত: আগের থেকে সুস্থ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
Next articleকরোনা আতঙ্কে জন্ম তাই কি সদ্যোজাতর নাম রাখা হল ‘করোনাশ’?