লকডাউন ভাঙলে এবার ‘বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে’ মামলা, ২ বছরের জেল

লকডাউনের মেয়াদ বাড়ছে৷ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং সরকার হাজার বার বলছে, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং এবং লকডাউন মেনে চলুন স্রেফ নিজের এবং নিজের পরিবারের স্বার্থে৷ তা সত্ত্বেও লকডাউন-বিধি লঙ্ঘনের ছবি প্রকাশ্যে আসছেই৷

করোনা পরিস্থিতিতে এই লকডাউন বিধি অমান্য করলে ঠিক কী কী হতে পারে ?

◾রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তর এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি
জারি করেছে গত শনিবার৷

◾বিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এতদিন ইংরেজ আমলের আইন প্রয়োগ করা হচ্ছিলো৷

◾রাজ্য সরকার শনিবার জানিয়েছে, ওই পুরনো আইন আর নয়, এবার থেকে “বিপর্যয় মোকাবিলা আইন” প্রয়োগ করা হবে৷

◾লকডাউন ভাঙলে অথবা অবশ্যপালনীয় স্বাস্থ্যবিধি না-মানলে প্রথমে বোঝাবে, না বুঝতে চাইলে কঠোরভাবে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রয়োগ করতে পারবে পুলিশ৷

◾লকডাউন বা সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের নির্দেশ যারা মানছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কঠোরভাবে আইনি পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।

◾বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ভিত্তিতে
বিধি অমান্যকারীদের গ্রেপ্তার করে মামলা রুজু করা যাবে।

◾বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে রুজু হওয়া মামলায় দোষ প্রমাণিত হলে ২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

◾বিপর্যয় মোকাবিলা আইন, ২০০৫-এর ৬০ নম্বর ধারা অনুযায়ী আইনে থাকা কোনও নির্দেশ অমান্য করা হলে পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর বা তার চেয়ে উঁচু পদমর্যাদার যে কোনও পুলিশ অফিসারকে অভিযোগ দায়ের করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

◾সরকারি নির্দেশিকার ভিত্তিতে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করার কাজ শুরুও করেছে পুলিশ।

◾এই মহাসংকট কালে যাঁরা মিথ্যা ও ভুল খবর রটিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ করছে পুলিশ৷

Previous articleচলতি মাসে ভিডিও কনফারেন্সে হবে লালবাজারের ক্রাইম মিটিং
Next articleসাবিত্রীর বাড়ি জরুরি সামগ্রী নিয়ে মন্ত্রী অরূপ