করোনার জেরে ঘা খাওয়া আর্থিক পরিস্থিতির ভয়াবহ ছবি উঠে এলো সমীক্ষায়

করোনাভাইরাসের জেরে লকডাউন আর হটস্পট৷ গোটা দেশ স্তব্ধ৷ ছোট,মাঝারি, বৃহৎ, সব ধরনের শিল্প থমকে গিয়েছে৷ আরও করুন চিত্র অসংগঠিত শিল্পে এবং দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে বিভিন্ন শিল্পে কর্মরতদের৷

এক হাহাকারের সমাজজীবন আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে৷ আজ বা কাল, একটা সময়, নিশ্চিতভাবেই এই করোনাভাইরাস নতজানু হয়ে সরে যাবে৷ কিন্তু রেখে যাবে এক দগদগে ঘা৷ দেশ বা রাজ্যের আর্থিক মেরুদণ্ডে এই করোনা এমন ঘা দিয়ে চলেছে, যার আদৌ কোনও চিকিৎসা আছে কিনা, তা ভাবার সময় দুয়ারে দাঁড়িয়ে৷

নগর জীবনের সঙ্গে গ্রামীণ ক্ষেত্রে কোনও তফাত নেই৷ শহুরে সমাজের অটো চালক, রিক্সা-ভ্যান-ঠেলাচালক অথবা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ছাত্র-ছাত্রী পড়ানো টিউটর অথবা গ্রামীণ ক্ষেত্রের কৃষি শ্রমিক, তাঁত শিল্পী বা গ্রামে থেকে শহরে পরিচারিকার কাজ করতে আসেন যারা, আজ কোনও ফারাক নেই তাঁদের অসহায়তার৷ দলে দলে আজ নিজেদের দীর্ঘদিনের পেশা ছেড়ে অন্য পথের সন্ধান করছেন৷ অনেকে ভিন্নপথে দু’পয়সা উপার্জনের পথে ইতিমধ্যেই নেমে পড়েছেন৷ এদের ভবিষ্যৎ কী? এই অসম যুদ্ধ চালিয়ে আদৌ কি নিজেদের অস্তিত্ব টিঁকিয়ে রাখতে পারবেন ?

বিশিষ্ট সমীক্ষক তথা অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী নতুন এই ভাবনার দুনিয়ায় প্রবেশ করেছেন৷ বিস্তৃত সমীক্ষা চালিয়ে এক অন্ধকার-ছবি তুলে ধরেছেন৷ তিনি দেখিয়েছেন, পুরোনো কাজ তথা কাজের সঙ্গে যুক্তদের সাম্প্রতিক অবস্থা কেমন, কীভাবে তারা দলে দলে নতুন কাজের সন্ধানে মরিয়া৷
একবার নজর দেওয়া যাক অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী’র সমীক্ষালব্ধ তথ্যসমূহের দিকে, যে তথ্য কানাগলিতে ঢুকে পড়া দেশের চরমতম আর্থিক মন্দার ছবিটাই সামনে এনে দিয়েছে ৷

 

Previous articleBreaking: সাইবার ব্ল্যাকমেলিংয়ে বিপদের মুখে কগনিজেন্ট
Next article২০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় তালিকা অনুসারে কোন কোন ক্ষেত্রে কাজ শুরু হবে