দেশের কোন রাজ্যের করোনা-পরিস্থিতি ঠিক কী রকম, নির্দিষ্ট কিছু অঙ্কের হিসাবে তা তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷
🔴 স্বাস্থ্যমন্ত্রক এক্ষেত্রে বিচার করেছে, আক্রান্তের সংখ্যার দ্বিগুণ হওয়ার দিন।
🔴 অর্থাৎ কম সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হলে পরিস্থিতি খারাপ বলে ধরা হবে।
🔴 আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ যে রাজ্যে যত বেশি সময় ধরে হবে, সেই রাজ্যের পরিস্থিতি তত ভালো বলেই ধরা হয়েছে।
🔴 কেন্দ্রের দাবি, এই তথ্যেই ধরা পড়ছে, চিরাচরিত ধারণা অনুযায়ী, করোনা- সংক্রমিতের সংখ্যা গুণিতকের হারে বাড়ছে না।
◾কেন্দ্রের রাজ্যওয়ারি হিসেবে দেখানো হয়েছে:
🔴 তেলেঙ্গানা আর ছত্রিশগড়ের পরিস্থিতি গোটা দেশে সব থেকে ভালো।
🔴 ১ হাজারের কিছু বেশি করোনা- রোগী তেলেঙ্গানা’য়৷
🔴 মাত্র ৩৭ জন রোগী ছত্রিশগড়ে৷
🔴 এই দুই রাজ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার গড় সময় ৭০ দিন। এটাই আপাতত সর্বোচ্চ ৷
🔴 কর্নাটক, কেরল আর পাঞ্জাবে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে সময় নিচ্ছে ৩৫ দিন।
🔴 হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের করোনা-রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে ২৫ দিনে৷
🔴 মধ্যপ্রদেশে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে ২০ দিনে৷
🔴 পরিস্থিতি কিছুটা অন্যরকম বিহার আর ঝাড়খণ্ডে।
🔴 বিহার ও ঝাড়খণ্ডে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার গড় সময় এখন যথাক্রমে ৫ এবং ৬ দিন।
🔴 দিল্লি, ওড়িশা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সময় ১০ দিন।
🔴 জম্মু-কাশ্মীরে ১২ দিন।
🔴 আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে বেশি, কিন্তু সেই সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সময়সীমাও বাড়ছে, এমন তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে।
🔴 বর্তমানে বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে ১০ দিনে। কিছু দিন আগেই এই সংখ্যা ৯ দিন ছিল।
🔴 মহারাষ্ট্র আর গুজরাতেও আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে ১০ দিনে৷
🔴 গুজরাতে এক সময়ে ৭ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ গুণ হয়ে গিয়েছিল।
🔴 তামিলনাড়ুতে এই সময়সীমা ২৫ দিন৷
🔴 রাজস্থানে ২০ দিন।
🔴 এই মুহূর্তে সারা ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে গড়ে ১২ দিনে।
🔴 লকডাউনের আগে আগে এই অঙ্ক ছিলো ৩ থেকে সাড়ে ৩ দিন।
🔴 সব মিলিয়ে ভারতে করোনা পরিস্থিতি যে নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে, সেটাই বুঝিয়েছে কেন্দ্র৷