মদের দোকান খুলতেই বিরাট লাইন, আইন-শৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় ফের ঝাঁপ বন্ধ

“স্ট্যান্ড অ্যালোন” অর্থাৎ কোনও শপিং মল বা মার্কেট কমপ্লেক্সের মধ্যে নয়, রাস্তার ধারে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র মদের দোকানকেই খোলার অনুমতি দিয়েছে আফগারি দফতর। সব জোনে অনুমতি মিললেও কনটেইনমেন্ট এলাকাগুলো বাদের তালিকায় জোনে কোনও দোকান খুলবে না। এই খবর চাউর হতেই সকাল থেকে বিরাট লাইন মদের দোকানগুলির বাইরে। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত হাতে অর্ডার কপি না আসায় স্থানীয় প্রশাসন দোকান খোলার অনুমতি দেয়নি। ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন দিয়েও হতাশ হতে হয় সুরা প্রেমীদের। অনেকেই খালি হাতে বাড়ি ফেরেন।

তবে দুপুরে অর্ডার আসতেই দোকান খোলার অনুমতি মেলে।
তাই সকালে বন্ধ হলেও পুলিশি পাহারায় বিকেলে রাজ্যজুড়ে খুলে যায় মদের দোকান। আফগারি দফতরের নির্দেশ অনুসারে, দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকবে। সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে মদ বিক্রি করতে হবে। পাশাপাশি কোনও ক্রেতাকে দু’বোতলের বেশি মদ বিক্রি করা যাবে না। মুখে মাস্ক পড়ে আসতে হবে ক্রেতাদের। সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতে দোকানগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয় ৬ ফুট দূরত্ব রেখে দোকানের সামনে গোল দাগ দিতে। পাশাপাশি, মদের উপর ৩০ শতাংশ বাড়তি বিক্রয় কর ধার্য করা হয়েছে। দামের সেই নতুন তালিকা দোকানের বাইরে টাঙিয়ে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এদিকে দোকান খোলার খবর ছড়িয়ে পড়ে বিদ্যুতের গতিতে। সুরা প্রেমীরা যে যেখানে ছিল পড়িমরি করে ছুটে আসে দোকান চত্বরে। মুহূর্তে একাধিক লম্বা লাইন দেখা যায় সর্বত্র। কিছু কিছু দোকানে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত চলে যায় সেই লাইন।

প্রসঙ্গত, সকালে মদের দোকান খোলার আগে থেকেই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দোকানের সামনে ব্যাপক ভিড় হয়। লকডাউনের বিধি ভেঙে সামাজিক দূরত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কালীঘাট, হাজরা, ভবানীপুর-সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় মদের দোকানের সামনে লম্বা লাইন চোখে পড়ে। ভিড় সামলাতে নাভিশ্বাস ওঠে পুলিশের। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থেকে সকালে খোলাই হয়নি দোকান। দুপুরের পর তা কয়েক ঘন্টা খুলে ফের বন্ধ করে দেওয়া মদের দোকান।

Previous articleনিম্নবিত্তদের সাহায্যে এগিয়ে এল বারুইপুর হাই স্কুলের প্রাক্তনীরা
Next articleকরোনা আক্রান্তের হদিশ, এলাকা সিল করতে বারুইপুরে পুলিশে ছয়লাপ