দেশে তৃতীয় দফার লকডাউন চলছে। এখনও বন্ধ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রাজ্যের নির্দেশিকা অনুসারে ১০ জুনের আগে খুলবেনা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।
গত সপ্তাহে ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন বা UGC-র তরফে এক নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। তবে তা কার্যকর করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা এখনও প্রকাশিত হয়নি।
জানা গিয়েছে, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে আলোচনা চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে চরম বিভ্রান্তিতে ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের হতাশা ও দুশ্চিন্তার কারণ যথাযথ নির্দেশিকা ও দিনক্ষণ না থাকা।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এখনও পর্যন্ত নিজের মতের বদলে শিক্ষা দফতরের পরামর্শের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৪০ টি কলেজ রয়েছে।
ছাত্র-ছাত্রীদের এমন হতাশা ও দুশ্চিন্তার কারণ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসব চৌধুরী বলেন, ‘ শুধু আমাদের মতামত দিয়ে তো হবে না। সাধারণভাবে নির্দেশিকা বেরোলেই তা কার্যকর করা হবে।’ কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য গৌতম পাল, ‘ কবে সব ঠিক হবে এই প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া গেলে কি করে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার ঘোষণা করব?’ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য্য সরকারের নির্দেশিকা প্রকাশিত হওয়ার আগে কিছু স্পষ্ট করে জানাতে চাননি।
যাদবপুর রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্যরা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া, শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, একটি রিপোর্ট শিক্ষা দফতরকে পাঠানো হবে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ি বলেন, ‘১০ জুনই যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যাবে তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে একটা একাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি করে আমরা শিক্ষা দফতরকে দেব দেখা যাক সেখান থেকে কী জানায়।’
এমন টালমাটাল পরিস্থিতিতে উৎকণ্ঠা ছড়িয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে।