লড়াই থামল পঞ্চায়েত সদস্যা কল্যাণী রায়ের, শোকের ছায়া কোন্নগরে

কয়েক দিন অসুস্থতার পরে মৃত্যু হল তৃণমূল পরিচালিত কোন্নগর নবগ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যার। মৃতের নাম কল্যাণী রায়। মাস খানেক ধরে রক্তাল্পতায় ভুগছিলেন কল্যাণী। মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবার সূত্রে খবর, ২৭ মার্চ বাড়িতে কয়েকবার বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়েন কল্যাণী। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে কল্যাণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় জ্বর ও অন্যন্য উপসর্গ দেখে ওই দিনই চিকিৎসকেরা তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে স্থান্তরিত করেন। তারপর সেখানে কোভিড১৯ সন্দেহ করে তাঁর সোয়াব পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপর ১ এপ্রিল বাঙুর হাসপাতাল তাঁকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় । এরপর থেকে বাড়িতেই ছিলেন কল্যাণী। মঙ্গলবার দুপুরে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাঁকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তৃণমূল নেত্রীকে পরীক্ষা করে দেখেন, হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দেন। চিকিতসকেরা। সেইমতো রক্ত নিয়েও যাওয়া হয়। কিন্তু রক্ত দেওয়ার আগেই কল্যাণীর মৃত্যুর হয়। মৃতের স্বামী সুশান্ত রায় বলেন, “কল্যাণী স্বাস্থ্য সচেতন ছিল। এক বছর ধরে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নিজের ওজন কমিয়ে ফেলে ছিল। হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়ল। চিকিতসকেরা বললেন শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গিয়েছে। কলকাতা থেকে রক্ত এনেও স্ত্রীকে বাঁচাতে পারলাম না”।

স্বামী ও ছেলে সহ কল্যাণী নবগ্রামের বাড়িতেই থাকতেন। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের প্রতীকে প্রথম নির্বাচনে লড়াই করে জয়ী হন।
তৃণমূল নেত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে যান স্থানীয় তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা। স্থানীয় বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বলেন,কল্যাণী খুব লড়াকু নেত্রী ছিলেন। কাজ করার মানসিকতা ছিল। এত অল্প বয়সে চলে গেলেন বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।

Previous articleরাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরে জবাবি ফেসবুক পোস্ট মমতার
Next articleদেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে তৃতীয় পর্বেও লকডাউন বৃদ্ধি তেলেঙ্গানার