হোমিওপ্যাথি গবেষক ম্যাসিমোর পথেই হাঁটতে চান রাজ্যের চিকিৎসকরা?

করোনা মোকাবিলায় প্রতিষেধক এবং ওষুধ নিয়ে গবেষণা চলছে। এরই মধ্যে ভারতের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা ইতালির হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এবং গবেষক ম্যাসিমোর চিকিৎসা পদ্ধতিকে সামনে রেখে করোনা চিকিৎসায় এগিয়ে এসেছেন। ওই একই রাস্তায় হাঁটতে চাইছেন এরাজ্যের চিকিৎসকরাও। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই করোনা চিকিৎসার জন্য আয়ুশ প্রোটোকলে যুক্ত করেছে হোমিওপ্যাথিকে।

জানা গিয়েছে, মার্চ মাসে ম্যাসিমো ইতালির একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে গিয়ে ৮৪ জনের উপর হোমিওপ্যাথি ওষুধ প্রয়োগ করেন। তারমধ্যে ৬৪ জন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন। বাকিদের অবস্থা সঙ্কটজনক থাকলেও পরে তাঁরা সুস্থ হয়ে যান। ম্যাসিমো বলেন, অজানা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে প্রথমে উপসর্গগুলি বুঝতে হয়। তারপর সেই উপসর্গ অনুযায়ী ওষুধ বা প্রতিষেধক প্রয়োগ করতে হবে। তাঁর দেখানো পথেই মুম্বই, গুজরাত, চেন্নাই, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা বিভিন্ন সরকারি কোভিড ১৯ সেন্টারে গিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল  করেছেন। তাতে সাড়া দিল সে বলে দাবি চিকিৎসকদের।

ম্যাসিমোর সঙ্গে কাজ করেছেন এরাজ্যের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক এবং হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ডাঃ সৌগত ভট্টাচার্য। এ রাজ্যেও যাতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয় তা নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন তিনি। তিনি বলেন, “করোনার প্রাথমিক উপসর্গ হালকা জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট। যা কমানোর ক্ষেত্রে প্রচুর ওষুধ আছে হোমিওপ্যাথিতে। উপসর্গের ভিত্তিতে চিকিৎসা করলে এই মারণ রোগকে অনেকটাই প্রতিহত করা যায়।ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে এই কাজ শুরু করতে হবে।”

Previous articleজুন-জুলাইতে আরও বিপদ, আপাতত থাকবে করোনা
Next articleকরোনা-মৃত্যু: সৎকারের চারদিন পরে খবর পেল পরিবার!