লকডাউনে কেমন আছেন বিনোদন জগতের মানুষ? অকপট স্বীকারোক্তি রুদ্রনীলের

টিভি খুললেই এখন পুরনো সিরিয়ালের পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে বাড়ি থেকে শুট করা নতুন সব এপিসোড। সেখানে কখনও গল্প এগোচ্ছে স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী। কখনও দেখা যাচ্ছে প্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অন্দরমহল। কিন্তু আদপে কেমন আছেন তাঁরা? নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে তারই অকপট স্বীকারোক্তি করলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। তাঁর মতে,

মুখে কেউ কিছু না বললেও আর কতদিন তাঁরা টানতে পারবেন জানা নেই। রুদ্রনীলের আশঙ্কা লকডাউন উঠে গেলেও ভয়ংকর সমস্যায় থাকবেন শিল্পী ও কলাকুশলীরা। মার্চ থেকে রোজগার নেই, শুটিং বন্ধ।
“যতদিন না সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে সচ্ছল হচ্ছেন বা করোনা আতঙ্ক মন থেকে না কাটাতে পারছেন, ততদিন সিনেমা হলে কেউ যাবেন না, টিকিট কাটবেন না, ফলে টাকা উঠবে কি করে? সুতরাং, প্রোডিউসাররা ততদিন ঝুঁকি নিয়ে কোন ছবি আর বানাবেন না। সুতরাং এই অনিশ্চিত ততদিন আমরা বেকার” লিখেছেন রুদ্রনীল।
এদিকে টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের নির্ভর। লকডাউনে শিল্প-বাণিজ্য বন্ধ। বিজ্ঞাপন থেকে রোজগারও বন্ধ। বন্ধ শুটিং। ফলে চালু সিরিয়াল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। টেলিউডের লক্ষ লক্ষ শিল্পী আর কলাকুশলীও বেকার।
অভিনেতার কথায়, “আমাদের পেটে খাবার থাক না থাক হাসিমুখে সেজে গুজে থাকতে হয়, জাস্ট জীবিকার নিয়মে”। তিনি জানান, ছোট আর মাঝারি শিল্পী বা টেকনিশিয়ানরা বাড়ি ভাড়া দিতে পারছেন না, খাবার টাকা নেই। “বকেয়া টাকা চাইতে গেলে লোকজন পরিস্থিতির দোহাই দিচ্ছে বা ইন্ডাস্ট্রি খুললে পাবে বলছে” মডেলিং বা গ্ল্যামার জগতের সব লোকজনেরও এক হাল বলে মত রুদ্রনীলের।
শেষে তিনি অনুরোধ করেছেন, “যদি আপনাদের বাড়িতে বা পাড়ায় এঁরা ভাড়া থাকেন, সাধ্যমতো একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন, তাড়িয়ে দেবেন না”!

Previous articleকলকাতা পুরসভার ধাঁচে এবার বারুইপুর-মহেশতলায় মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যানকেই প্রশাসক নিয়োগ রাজ্যের
Next articleপরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে প্রথম ট্রেন পৌঁছল এনজেপি-তে