নেপাল-ভারত সম্পর্কে চিড় ধরাতে চাইছে চিন, মত সেনাপ্রধানের

মানস সরোবর যাত্রার জন্য সংক্ষিপ্ত আন্তর্জাতিক সড়ক তৈরি করেছে ভারত সরকার। তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। নেপালের দাবি, অনধিকার প্রবেশ ঘটিয়েছে ভারত। ১৮১৬ সালে ইঙ্গ-নেপাল যুদ্ধের পর সুগৌলি চুক্তি অনুসারে লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি এবং লিপুলেখ কোনওভাবেই ভারতের নয়। তবে এই বিতর্কের পিছনে বেজিংয়ের উস্কানি আছে বলে মত ভারতীয় সেনার।

সেনাপ্রধান এমএম নারাভানের বক্তব্য, এই বিতর্ক ঘটানোর জন্য প্রত্যক্ষভাবে মদত দিচ্ছে চিন। যে কোনও বিষয়কে সামনে এনে কাঠমান্ডু এবং দিল্লির সম্পর্কে চিড় ধরাতে চাইছে চিন। সেনাপ্রধানের বক্তব্য, সড়ক নির্মাণ করে কোনও অনধিকার চর্চা ভারত করেনি। নেপালের সীমান্তে প্রবেশ করেনি ভারত। তাদের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। একটি ভিডিও কনফারেন্সে নিজের মতামত দেন সেনাপ্রধান নারাভানে।

প্রসঙ্গত, ভিডিও কলের মাধ্যমে ওই সড়ক গত শুক্রবার উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। নেপালের পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত এই পাসকে নাকি ভারত নিজের সীমান্তে দেখিয়েছে। এরপরই তৈরি হয় বিতর্ক। নেপালে অবস্থিত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায় কাঠমাণ্ডু। তবে সেনাপ্রধান বলেছেন, এ নিয়ে বিতর্ক হওয়া উচিত নয়। কালি নদী পূর্ব প্রান্ত নেপালের সীমানা। কিন্তু পশ্চিম প্রান্ত ভারতের। সেখানেই শেষ হয়েছে রাস্তা।

Previous articleগরিব মানুষের হাতে টাকা দিলে ভয়ঙ্কর বিপদ অপেক্ষা করছে, সতর্কবার্তা রাহুল গান্ধীর
Next articleদেশের ৩০ জন পুরপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের