খেলা-মেলা-লীলায় টাকা নষ্ট হয়, কিন্তু পরিযায়ীদের জন্য রেলগাড়ি নয়! কটাক্ষ দিলীপের

করোনা আবহে লকডাউন পর্বে প্রতিদিনের মতো আজ, রবিবারও সল্টলেকে নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন তিনি। দিলীপবাবুর বক্তব্যের সিংহভাগ জুড়েই ছিল রাজ্য সরকারের কঠোর সমালোচনা।

এদিন তাঁর বক্তব্য ছিল এরকম–

(১) রাজ্যে রেশন বন্টন ব্যবস্থার বিষয়ে এদিন দিলীপ ঘোষ ফের একবার খাদ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যাবতীয় ক্ষোভ উগড়ে দেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীর নিজের এলাকা হাবড়াতেই সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হচ্ছে। খাদ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় তার ছোট নেতারা বস্তা বস্তা চাল-গম গায়েব করে দিচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রচুর চাল, ডাল পাঠিয়েছে, কিন্তু রাজ্য সেগুলি বন্টন করছেন না সঠিক ভাবে।

(২) আরবিআই থেকে লোন নেওয়া প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, শুধু আরবিআই নয় বাজার থেকে লোন নেওয়ার প্রক্রিয়া সেই সিপিআইএমের আমল থেকে চলে আসছে। যে সংস্কার চালু করেছে কেন্দ্র সরকার সেটা পশ্চিমবঙ্গে লাগু হলে ০.৫% ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হবে, যাতে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা তারা পাবেন। জিএসটিতে যা পাওনা সব মিটিংয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকার টাকা পায়, কিন্তু টাকার হিসাব দেয় না। রাজ্য সরকার সত্যিই আন্তরিক হলে এই টাকা সাধারণ মানুষের উন্নয়নে কাজে লাগিয়ে তাঁদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে পারবে।

(৪) আর্থিক বাজেটে স্থির হওয়া জিডিপি’র প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, এই দুর্যোগের সময় কেন্দ্রীয় সরকারের যা করার করে দেখিয়েছে। এবার রাজ্যকে তার দায়িত্ব-যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে করে দেখাতে
হবে।

(৫) রাজ্যের তরফ থেকে টাকা না পাওয়ার অভিযোগের বিরুদ্ধে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন আজ যা পাওনা ছিল তার পাই-পয়সার হিসাব দিয়ে দিয়েছেন। কেন্দ্রের তরফ থেকে হিসাব আসলেও রাজ্যের তরফ থেকে কোনও হিসাব কেন্দ্রকে পাঠানো হচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এ রাজ্যের সরকারকে বিশ্বাস করেন না।

(৬) খেলা-মেলা-লীলা করে প্রচুর টাকা রাজ্য নষ্ট করেছে। কিন্তু ক’টা টাকার জন্য রেলগাড়ি চালাচ্ছে না। লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ট্রেনের জন্য বাড়ি ফিরতে পারছে না। খুব কষ্টে আছে তাঁরা। সময় এসেছে রাজনীতি বাদ দিয়ে সমাজের কথা ভাবার।

Previous articleলকডাউন-৪: কী খোলা, কী বন্ধ? এক নজরে দেখুন কেন্দ্রের নয়া গাইড লাইন
Next articleলকডাউনের এক মাসে চার সংস্থা! জিওতে লগ্নি এবার জেনারেল আটলান্টিকের