সকাল থেকে নাকাল যাত্রীরা, কোথায় আধ ঘন্টা অন্তর বাস!

সোমবার মহানগরের রাস্তায় নেমে নাকাল হলেন সাধারণ মানুষ। সরকারি বাস দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াতের সমস্যা মিটবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু আধঘন্টা তো দূরে থাক চড়া রোদ মাথায় করে মানুষ কোথাও কোথাও বাসের জন্য দাঁড়িয়ে রইলেন দেড় ঘন্টা থেকে দু’ঘন্টার বেশি সময়। শেষে বাস এলে সেই বাসে ২০জন যাত্রী দূরে থাক, ঠাসাঠাসি করে যাত্রা করতে বাধ্য হলেন। সোশ্যাল ডিসট্যান্স তখন চুলোয় উঠেছে। আমজনতা বলছেন, অফিস খুলেছে। অফিস বলছে সময়ে কেন আসছ না! বাস তো চলছে। কিন্তু বাস্তব অবস্থাটা তো বুঝতে হবে। আমরা পড়েছি ফাঁপড়ে।

সোমবারের পরিস্থিতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বেসরকারি বাস না চালালে যাত্রী পরিবহন কার্যত পঙ্গু। বিরোধীদের বনধ ব্যর্থ করতে একদিনের জন্য সরকারি বাস নামিয়ে বনধ ব্যর্থের ছবি তুলে রাখা যায়, কিন্তু তাতে যে বাস্তব সমস্যার সমাধান হয় না, তা পরিষ্কার হয়ে গেল সোমবার সকাল থেকে। লকডাউনে নূন্যতম যাত্রী পরিষেবা চালু রাখতে পরিবহন দফতরের উচিত এখনই বেসরকারি বাস ইউনিয়ানের সঙ্গে বসা। অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা করা। নইলে পরিবহন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা।

Previous articleচলতে হবে করোনাকে নিয়েই, মানতে হবে নিরাপত্তা বিধি
Next articleমাস্ক না পরলে তিন বছরের জেল, সঙ্গে জরিমানা