‘সুপার সাইক্লোন’ আমফান ধেয়ে আসছে, কী কী সর্তকতা জারি রাজ্যের তরফে, জেনে নিন

করোনার জেরে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ, তার ওপর আবার ‘সুপার সাইক্লোন’ আমফান। ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি হয়েছে দিঘার সৈকত সংলগ্ন এলাকায়। NDRF প্রত্যেকটি গ্রাম ঘুরে ঘুরে মাইকিং করছে।

গোটা রাজ্যজুড়ে সর্তকতা জারি হওয়ার সঙ্গে চলছে খাবার সহ ত্রাণ সামগ্রী, ত্রিপল মজুদ করার কাজ।

আবহাওয়াবিদদের কথা অনুযায়ী, গতিপথ, গতিবেগ অনুযায়ী দিঘা থেকে বাংলাদেশের হাতিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে আছড়ে পড়তে পারে আমফান।

এই ঝড়ের জেরে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে দুই মেদিনীপুর ও দুই চব্বিশ পরগনা। এমনকী কলকাতাতেও ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

কী করবেন কী করবেন না তা জানিয়ে একটি পোস্টার তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। তাতে রয়েছে

*সতর্কবার্তা ঘূর্ণিঝড়ের আগে :*

•গুজব উপেক্ষা করুন, শান্ত থাকুন, আতঙ্কিত হবেন না
•আপনার মোবাইল ফোন চার্জ দিয়ে রাখুন
•রেডিও টিভি ও সংবাদপত্রে আবহাওয়া খবরের দিকে খেয়াল রাখুন
•জরুরি নথিপত্র ও মূল্যবান সামগ্রী জল থেকে বাঁচিয়ে রাখুন
•আপৎকালীন প্রয়োজনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী খাদ্য ঔষধ পোশাক প্রস্তুত রাখুন
•আপনার বাড়িটিকে সুরক্ষিত রাখুন, কোন ধারালো বস্ত খোলা অবস্থায় রাখবেন না
•নিরাপত্তার খাতিরে গৃহপালিত প্রাণীর বাঁধন খুলে দিন
•মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে যাবেন না
•মৎস্যজীবীরা নৌকা নিরাপদ স্থানে বেঁধে রাখুন

*সতর্কবার্তা ঘূর্ণিঝড়ের পরে :*

🔴 যদি বাড়ির ভিতরে থাকেন

•বৈদ্যুতিন লাইন এবং গ্যাস সরবরাহের মেইন সুইচ বন্ধ রাখুন
•দরজা জানালা বন্ধ রাখুন
•খড়ের ঘর/কাঁচা বাড়ি এবং ক্ষতিগ্রস্ত পাকা বাড়িতে থাকবেন না
•যদি আপনার বাড়ি সুরক্ষিত না হয় তবে ঘূর্ণিঝড় আরম্ভ হওয়ার আগেই ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নিকটবর্তী নিরাপদ পাকা বাড়িতে আশ্রয় নিন
•রেডিও/টিভি ও সংবাদপত্রের আবহাওয়ার খবরের দিকে লক্ষ্য রাখুন

🔴 বাড়ির বাইরে থাকলে

•ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়িতে প্রবেশ করবেন না
•ভেঙে পরাবৈদ্যুতিক স্তম্ভ ও তার এবং ধারালো বস্তুর ব্যাপারে খেয়াল রাখুন
•যত শীঘ্র সম্ভব নিরাপদ আশ্রয়/পাকা বাড়ি খুঁজে নিন

এছাড়াও কোনও অসুবিধা হলে রাজ্যের ১০৭০ এই হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করুন।

Previous article“ব্যাগ হাতে আসুন একা, সবজি বাজারে লাগবে না টাকা”! যাদবপুরে বামেদের অভিনব কর্মসূচি
Next articleলকডাউন: নেই মূর্তির বরাত, অভাব-সঙ্গী হুগলির মৃৎশিল্পীদের