থমকে যাওয়া শহরকে সচল করতে নিদ্রাহীন পরিশ্রমে ডিএমজির কর্মীরা

থমকে যাওয়া শহরকে সচল করতে গভীর রাত থেকেই রাস্তায় নেমে পড়েন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের কর্মীরা। রাতে একটু বৃষ্টি কমতেই পুরসভার কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তারা নামেন রাস্তায়। তবে কোথায় কোথায় তাণ্ডব চালিয়েছে আমফান, তা শনাক্ত করতে সময় লাগে। তার উপরে জমা জলে অসুবিধা বাড়ে। বুধবার সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যার মধ্যেই ২৭টি গাছ পড়ে যায়। তারপর রাত যত বাড়তে থাকে ততোই গাছ, পোস্ট, হোর্ডিং পড়া বাড়তে থাকে। দক্ষিণ থেকে উত্তর কলকাতা, একই দৃশ্য। শহরে গাছ পড়ে বহু গাড়ির ক্ষতি হয়েছে, এবং পুরনো কিছু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। যদিও সেখানে প্রাণহানির কোনও ঘটনা ঘটেনি। ডিএনজি কর্মীরা গ্যাস কাটার সহ অন্যান্য যন্ত্র নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। অনেক ক্ষেত্রে বট গাছের আঠায় করাত আটকে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে শহরকে সচল করতে মরিয়া এই কর্মীরা। কলকাতায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে ঝড়ের তাণ্ডবে। রিজেন্ট পার্কের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেয়াল ভেঙে পড়ে বৃদ্ধা মা ও তার দুই ছেলের উপর। বড় ছেলে বেঁচে গেলেও মা ও ছোট ছেলের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে তালতলা লেনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে মহম্মদ তৌফিকের।

Previous articleআমফানের দাপটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হুগলিতে
Next articleআমফান চলে গেলেও রাজ্য জুড়ে বৃষ্টি, বর্ষা আসবে যথা সময়েই