প্রশাসনের উদ্যোগ: কোচবিহারে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেই খুশির ঈদ পালনে ব্যবস্থা

ফিরেছেন ভিন রাজ্য থেকে। তাই ঠাঁই হয়েছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। বছরে একবার আসে খুশির ঈদ। কিন্তু পরিবার, বন্ধুদের থেকে দূরে এবার কীভাবে কাটাবেন? রমজানের সম্পূর্ণ মাস এই চিন্তা করেই কাটিয়ে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু জানতেন না, তাঁদের জন্য সারপ্রাইজ তৈরি করছিলেন কোচবিহার জেলা প্রশাসন। সোমবার সকালে সমস্ত নিয়ম-নীতি মেনে কোচবিহারের প্রতিটি কোয়ারেন্টাইনে কেন্দ্রে থাকা মুসলিম ধর্মালম্বী মানুষদের প্রথমে নমাজ পড়ার ব্যবস্থা করেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। তারপরে আসে ভুরিভোজের পালা। কোয়ারেন্টাইনে থাকা সবার জন্য এদিন সেমাই এবং পুরি জলখাবার হিসেবে দেওয়া হয়। পরে আরও খাবারের ব্যবস্থা ছিল।

নমাজ শুধুমাত্র মুসলিম ধর্মালম্বীরা পড়লেও ঈদ উৎসবে কিন্তু শামিল হয় গোটা কোচবিহার। রাজ আমলেও হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে ঈদ উৎসব হিসেবে পালিত হত সেখানে। পরবর্তীতে এই ধারা অব্যাহত ছিল। কিন্তু অতিমারীর আতঙ্কে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের নামাজ পড়া হয় এবার। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলিতেও সামাজিক দূরত্ব বজায় ছিল। সরকারি নির্দেশিকা মেনে প্রতিটি মসজিদে দফায় দফায় নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মারণ ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কিছুটা খুশিতে কাটল ঈদ।

Previous articleবিমানের মাঝের আসন ফাঁকা রাখার নিয়ম আগামী ১০ দিনের জন্য শিথিল : সুপ্রিম কোর্ট
Next articleনামখানায় ডুবল বাংলাদেশি বার্জ! ক্রু সদস্যদের উদ্ধার করে পাঠানো হল কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে