করোনার থাবা আরও শক্তিশালী হচ্ছে, লকডাউনের সব ছাড় প্রত্যাহারের দাবি দেশজুড়ে

লকডাউন নামেই, একইসঙ্গে চলছে হরেক ছাড়৷ পরিবহণ চালু করা, দোকানপাট খোলার অনুমতি, উড়ানে অনুমতি ইত্যাদি একাধিক কারনেই ভারতে এই মুহুর্তে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা-সংক্রমণ৷ দেশজুড়ে দাবি উঠেছে, এই মুহুর্তেই লকডাউনে সব ধরনের ছাড় প্রত্যাহার করে আরও কঠোর করা প্রয়োজন লকডাউন-বিধি৷ বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এই পরিস্থিতিতে লকডাউন বিধি আরও কঠোর করা না হলে অথবা লকডাউন তুলে নেওয়া হলে আরও ভয়ঙ্কর হবে পরিস্থিতি৷

চতুর্থ দফার লকডাউন চলছে, তবুও ‌দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার কমার তো কোনও সম্ভবনাই নেই, বরং রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৬৫৩৫ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যার ফলে সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যাটা পৌঁছে গিয়েছে ১, ৪৫, ৩৮০–তে। যার মধ্যে ৮০ হাজারের বেশি রয়েছে অ্যাক্টিভ কেস। শরীর সুস্থ হয়ে গিয়েছে ৬০ হাজারের কিছু বেশি মানুষের। এর মধ্যে করোনা সংক্রমণের ফলে দেশে মৃত্যু হয়েছে ৪১৬৭ জনের।

এখনও পর্যন্ত দেশে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫২,৬৬৭ জন। ১,৬৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরেই আছে তামিলনাড়ু৷ ওই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজারেরও বেশি। তারপর গুজরাত, আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজারের বেশি। তুলনায় দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের হার ফের কিছুটা কমেছে।

ওদিকে, প্রশ্ন উঠেছে, গত ২ দিন ধরে দেশের করোনা পরীক্ষার পরিমাণ হঠাৎ অনেকটা কমে গিয়েছে কেন ? অনেকেই এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই নিয়ে ২ দিন করোনা পরীক্ষা পরিমাণ সারা দেশ মিলিয়ে ১ লক্ষেরও কম হয়েছে। যেখানে দেড় লক্ষ মানুষের করোনা পরীক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে ভারতের।

Previous articleবিদ্যুৎ ও জলের দাবিতে আজও ক্ষোভে ফুঁসছে শহর
Next article৮৪ বছরের জীবন থমকে গেল হিটলারের স্যাটার্নের