আরও একটা ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা! আদৌ কি তাই?

আমফানের ক্ষত দগদগে গোটা বাংলায়। জলের তলায় চলে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। ঘর হারিয়েছেন সাধারণ মানুষ। এই রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন ঘূর্ণিঝড়ের খবর মিলছে গত কয়েকদিন ধরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে আমফানের পর ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ তৈরি হচ্ছে আরব সাগরে। ইসরোর উপগ্রহ থেকে বোঝা গিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান। এভাবেই একের পর এক খবর ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়ে ইউটিউবে আপলোড হচ্ছে ভিডিও। তারপর তো শেয়ার হচ্ছে ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপে। কিন্তু আদৌ এই খবরের সত্যতা কতখানি তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

আমফান আছড়ে পড়ার পর থেকেই নিসর্গের নাম উঠে এসেছে। গত ২৮ এপ্রিল দিল্লির মৌসম ভবন উত্তর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পরবর্তী ১৬৯টি ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা প্রকাশ করে। বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, মলদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইয়েমেন—এই ১৩টি দেশের প্রত্যেকে ১৩টি করে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে। উত্তর ভারত মহাসাগর অঞ্চলের এই ১৩ দেশের ইংরেজি নামের আদ্যক্ষরের ক্রমানুসারে সাজানো হয় এই নামের তালিকা। তালিকা অনুযায়ী পরবর্তী যে ঘূর্ণিঝড় আসবে তার নাম ‘নিসর্গ’। এই নামকরণ করেছে বাংলাদেশ। তারপরের ঝড়টির নাম ‘গতি’, এই নাম ভারতের দেওয়া।

ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “উত্তর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এখন কোনও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়নি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেও ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। ভবিষ্যতে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার নামকরণ হবে নিসর্গ। তবে পশ্চিমবঙ্গে তার প্রভাব কেমন হবে বা আদৌ হবে কিনা তা এখনই বলা সম্ভব না।”

Previous articleলকডাউনে বিনা পয়সার হাট চুঁচুড়ায়, উদ্যোগ তৃণমূল কংগ্রেসের
Next article৪০০ বেডের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার কলকাতা বিমানবন্দরে