ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল, কীভাবে হবে উচ্চ মাধ্যমিক?

আমফানের তাণ্ডব লন্ডভন্ড করে দিয়েছে গোটা বাংলা। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কলকাতা সহ আটটি জেলা। ঘর হারিয়েছেন সাধারণ মানুষ, জলের তলায় কৃষিজমি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুলবাড়িও। এদিকে এখনও বাকি উচ্চ মাধ্যমিকের তিন দিনের পরীক্ষা। কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়, সে কথাই বুধবার জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, আট জেলায় ১০৫৮ টি পরীক্ষা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের জেরে তার মধ্যে ৪৬২টি পরীক্ষা কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোথাও ভেঙে গিয়েছে শৌচালয়, কোথাও আবার মিড ডে মিলের রান্নাঘরের ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। এই অবস্থায় সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে, উচ্চ মাধ্যমিকের কেন্দ্র হিসাবে কলেজগুলি ব্যবহার করা হতে পারে। তিনি বলেন, যতটা সম্ভব কাছাকাছি পরীক্ষা কেন্দ্রের কথা ভাবছে সরকার। দূরে হলে পরিবহনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের ফলে, যেসব পড়ুয়ার বই নষ্ট হয়েছে তাদের কথা ভাবছে শিক্ষা দফতর। সংশ্লিষ্ট জেলার পড়ুয়াদের বই দেওয়া যায় কিনা, সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

Previous article৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাজ্যের সব স্কুল, ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
Next articleআমাকে ডিসটার্ব করতে গিয়ে মানুষকে ডিসটার্ব করা হচ্ছে : মমতা